ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ আবহে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার খাতিরে আপাতত এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হল আইপিএল। বিসিসিআই সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা এ কথা ঘোষণা করেছেন। তাঁর কথায়, ‘বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আইপিএল এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। সকল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে টুর্নামেন্টের নতুন সময়সূচি ঘোষণা করা হবে। আমরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য গর্বিত। বিসিসিআই আমাদের সেনাবাহিনী এবং সরকারের পাশেই রয়েছে।’ চলতি আইপিএলে এখনও ১২টি লিগ পর্যায়ের ম্যাচ বাকি রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে চারটি প্লে অফ ম্যাচ সহ ফাইনাল খেলা। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ঘোষণা করা হয়নি বাকি ম্যাচগুলি কবে হবে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সম্ভাব্য সময়সূচিও। দুই দেশের এই যুদ্ধের আবহ একটু ঠান্ডা হলে হয়তো আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলির আয়োজন করবে বিসিসিআই।
উল্লেখ্য, জুন মাসে ভারত যাবে ইংল্যান্ড সফরে। এরপর আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, ঠাসা সূচি রয়েছে ভারতীয় দলের সামনে। সেই কারণে কোন সময় ফের শুরু হবে আইপিএল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। একই সঙ্গে আরও একটা প্রশ্ন উঠেছে, আইপিএলের বাকি ম্যাচ যখন আয়োজিত হবে, সেই সময় বিদেশি ক্রিকেটারদের পাওয়া যাবে কিনা! তখন যদিও আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডারের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প নেই। অন্যদিকে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে যে তারা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। তাছাড়াও আইপিএল খেলছেন অন্যান্য দেশের ক্রিকেটাররাও। তাঁদের নিরাপদে দেশে পৌঁছে দেওয়াটাই এখন সবার আগে লক্ষ্য থাকবে বিসিসিআইয়ের। আপাতত, আইপিএলের অষ্টাদশ মরশুম অনিশ্চিত। কীভাবে ক্রিকেটারদের বাড়ি ফেরানো যায়, তারও ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করা হচ্ছে বলে খবর। ভারতীয় বোর্ড এখন কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই নজর ক্রিকেট মহলের। জানা গেছে, বর্তমান যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সন্ত্রস্ত বিদেশি খেলোয়াড়েরা। পাঞ্জাব কিংসের দুই ক্রিকেটার মার্কাস স্টেয়নিস এবং জস ইংলিশ উদ্বেগ প্রকাশ করে বাড়ি ফেরার ইচ্ছাও জানিয়েছেন ইতিমধ্যে।
বৃহস্পতিবার ধরমশালায় পাঞ্জাব বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের খেলার সময়ে স্টেডিয়ামের ভেতরের আতঙ্কের কথা তুলে ধরেন এক চিয়ারলিডার। নাচের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি ওই সময় আচমকাই মাঠের সকল ফ্লাডলাইট নিভিয়ে দেওয়া হয়। পুরো পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে ওই চেয়ার লিডার বলেন, ‘গোটা স্টেডিয়াম ফাঁকা করে দেওয়া হচ্ছিল। খুবই আতঙ্কের একটা পরিবেশ তৈরি হয়। সবাই চিৎকার করছিল। শোনা যায় যে বোমা পড়বে। সে এক ভয়ানক অভিজ্ঞতা। আমরা স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে যেতে চাইছিলাম। আশা করব, আইপিএল কর্তৃপক্ষ আমাদের খেয়াল রাখবে। পুরো ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে পড়ি।’ এর পরেই স্টেডিয়াম খালি করে দেওয়ার নির্দেশ আসে।