মুম্বইয়ের হার্দিকদের জয়যাত্রা অব্যাহত লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ৫৪ রানে হারিয়ে। বুমরাহ ফর্মে থাকলে বিপক্ষ কার্যত ভেঙে যায়। এদিন ঠিক সেটাই প্রমাণ হল। তাঁর শিকার ২২ রানে ৪ উইকেট। এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গে পয়েন্ট টেবিলে মুম্বই পৌঁছে গেল দ্বিতীয় স্থানে।
এদিন টসে জিতে লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক ঋষভ পন্থ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান। দুইজন মুম্বই ওপেনার রায়ান রিকলটন এবং রোহিত শর্মা শুরুটা করেন বেশ মেজাজে। পাক্কা দু’ওভার পর স্ট্রাইক পান রোহিত। ময়াঙ্ক যাদবকে পরপর দু’বলে দু’টি ছক্কা মেরে স্বাগত জানান। যদিও এরপর নিজের উইকেট কার্যত ছুঁড়ে দেন। ৫ বলে ১২ রান করে ডাগআউট ফেরেন ‘হিট ম্যান’। দুর্দান্ত অর্ধশতক হাঁকান রিকালটন। দিগ্বেশ রাঠির বলে ৩২ বলে ৫৮ করে ফেরেন তিনি। এরপর উইল জ্যাকস (২৯) ফিরে গেলেও গিয়ার নিজের হাতে তুলে নেন সূর্যকুমার যাদব। তবে ২৮ বলে ৫৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে তিনি সাজঘরে ফেরেন। তিলক বর্মা (৬), হার্দিক পাণ্ডিয়া (৫) এদিন ব্যর্থ হন। শেষ দিকে নমন ধীর (২৫) এবং করবিন বোশ (২০) শেষ দিকে চালিয়ে খেলে মুম্বইয়ের রান ২১৫-তে নিয়ে যান। লখনউয়ের হয়ে ময়াঙ্ক যাদব এবং আবেশ খান ২ করে উইকেট পান। প্রিন্স যাদব, দিগ্বেশ রাঠি ও রবি বিষ্ণোইয়ের শিকার ১টি করে উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় লখনউ। বুমরাহ ফেরান এইডেন মার্করাম (৯)-কে। এরপর ভয়ানক হয়ে ওঠার আগেই আউট নিকোলাস পুরান (২৭)। এদিনও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি পন্থ। মাত্র ৪ রানে উইল জ্যাকসের বলে আউট হন তিনি।
ব্যর্থতা যেন তাঁর সঙ্গ ছাড়ছে না কিছুতেই। এরপর ভালো খেলতে খেলতে খেই হারিয়ে ফেলেন মিচেল মার্শ। ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হয়ে ৩৪ রানের বেশি এগোয়নি তাঁর ইনিংস। খেলাটাকে যখন প্রায় ধরে ফেলেছিলেন আয়ুশ বাদোনি (৩৫) তখনই বোল্টের বলে তাঁর প্রস্থান। এরপর ডেভিড মিলার (২৪) ফিরে যাওয়ায় লখনউয়ের জয়ের আশা কার্যত শেষ হয়ে যায়। লখনউ ১৬১ রানের বেশি করতে পারেনি। বুমরাহের ৪ উইকেট ছাড়া বোল্ট ৩টি ও জ্যাকস নেন ২টি উইকেট। বোশের শিকার একটি উইকেট।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ২১৫ (রিকালটন ৫৮, সূর্যকুমার ৫৪, ময়াঙ্ক ২/৪০, আবেশ ২/৪২)। লখনউ সুপার জায়ান্টস: ১৬১ (বাদোনি ৩৫, মার্শ ৩৪, বুমরাহ ৪/২২, বোল্ট ৩/২০)