প্রশ্ন: ইস্টবেঙ্গল মহিলা দল এশিয়ার মঞ্চে ফের একবার ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করতে চলছে। কোচ হিসেবে আপনার অনুভূতি?
অ্যান্থনি: দারুন। প্রথমদিন থেকেই চেয়েছিলাম যাতে ইস্টবেঙ্গল মহিলা দল এশিয়ার মঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। সমস্ত কৃতিত্বই মেয়েদের। দলগত পারফরম্যান্সের ফলেই এটা সম্ভবপর হয়েছে। তবে, এসিএল আমার কঠিন গ্রুপে রয়েছি। আশা করি, যা প্রস্তুতি হয়েছে, তাতে চিনে আমরা ভালো পারফরমেন্স করতে পারব।
প্রশ্ন: আপনি যখন ইস্টবেঙ্গল দলের দায়িত্ব নিলেন তখন কোনক্রমে নিজেদের অবনমন বাঁচিয়েছে। ফলে, আপনার জন্য দায়িত্বটা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল ?
অ্যান্থনি: অবশ্যই। একটা চ্যাম্পিয়ন দল থেকে একটা অবনমনের আওতায় থাকা দলের দায়িত্ব নেওয়াটা সত্যিই চ্যালেঞ্জের। কিন্তু, কোচ হিসেবে চ্যালেঞ্জ নেওয়াটাই আমার কাজ।
Advertisement
প্রশ্ন: আপনি বললেন যোগ্যতা অর্জন পর্বের চেয়ে মূলপর্বের লড়াই অনেক কঠিন। দলের প্রস্তুতি কেমন?
অ্যান্থনি: যোগ্যতা অর্জনপর্বেও লড়াইটা খুব একটা সহজ ছিল না। সেখানে দল একটা ম্যাচ জিতেছে, অন্যটা ড্র হয়েছে। তবে, আমার মনে হয় আমরা আরও ভালো ফলাফল করতে পারতাম। কিন্তু, মূলপর্বের আগে দল প্রস্তুতির ভালো সময় পেয়েছে। আমরা স্থানীয় ছেলেদের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি। যদিও, বিভিন্ন কারণে বিদেশি ফুটবলাররা এইসময় দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিতে পারেনি। তবু ভালো খেলার চেষ্টায় কোনও অভাব থাকবে না।
Advertisement
প্রশ্ন: ফুটবলার জ্যোতির অভিজ্ঞতা ইস্টবেঙ্গলকে কতটা সাহায্য করবে?
অ্যান্থনি: জ্যোতি আমার অধীনে গোকুলাম কেরলে খেলেছে। ওঁর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানি। জ্যোতির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। জ্যোতির লড়াই সম্পর্কে আমার জানা আছে। তাই ওঁর প্রতি বিশ্বাস প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে দুরন্ত ভূমিকা নেবে। আবারও বলছি ইস্টবেঙ্গলের জার্সির রঙটা লাল হলুদ। সেই কারণে ইস্টবেঙ্গলের জার্সির মধ্যেই উঁকি দেয় লড়াই করে ম্যাচ ছিনিয়ে নাও। সেই কারণেই সব ফুটবলাররা জার্সির ঐতিহ্যকে তুলে ধরবার জন্য সংগ্রামী মনোভাব নিয়ে প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে রণংদেহি চরিত্রে প্রতিপক্ষকে চাপের মুখে
রেখে দেবেন।
Advertisement



