কলকাতা ফুটবল লিগে প্রিমিয়র ডিভিশনের খেলায় বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হয়েছিল ভবানীপুর ও ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাব। এই দুই ক্লাব বেশ শক্তিশালী দল হিসেবে ইতিমধ্যেই সবার নজর কেড়ে নিয়েছে। এমনকি গত মরশুমে ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ রেখেছিল। কেন ইস্টবেঙ্গলকে লিগ চ্যাম্পিয়ন বলে আইএফএ ঘোষণা করেছিল, তা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ডায়মন্ড হারবার। এখনও তার ফয়সালা হয়নি। তবুও ফুটবলের স্বার্থে ডায়মন্ড হারবারের কর্মকর্তারা চলতি ফুটবল লিগে খেলার সিদ্ধান্ত নেয়। ইতিমধ্যেই তাদের দুটো ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে।
একটা ম্যাচে জয় পেলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে ড্র করে পয়েন্ট নষ্ট করতে হয়েছে। তৃতীয় সাক্ষাৎকারে ভবানীপুরের বিরুদ্ধে ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড়রা প্রথম থেকেই চাপ সৃষ্টি করে খেলতে থাকেন। ভবানীপুর দল বেশ শক্তিশালী দল গঠন করলেও এদিন তাদের যে ছন্দে খেলার কথা ছিল, তা দেখতে পাওয়া যায়নি। ডায়মন্ড হারবারের আক্রমণে তারা এলোমেলো হয়ে যায়। বরঞ্চ খেলার প্রথম থেকেই ভবানীপুর চড়া মেজাজে খেলতে থাকে ডায়মন্ড হারবারের বিরুদ্ধে। দু’দলই গোল করার প্রবণতা দেখালেও গোলমুখে গিয়ে আসল লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। তারই মধ্যে ৩২ মিনিটের মাথায় ডায়মন্ড হারবার জবি জাস্টিনের গোলে এগিয়ে যায়। পিছিয়ে থাকা ভবানীপুর গোল পরিশোধ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে। কিন্তু প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে ভবানীপুর ক্লাব বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে বদল করে আক্রমণ শানাতে চেষ্টা করে প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে। কিন্তু ডায়মন্ড হারবারের রক্ষণভাগকে ভেঙে গোল করতে পারেনি ভবানীপুর। এমনকি খেলার ৬৯ মিনিটে ডায়মন্ড হারবারের বিশাল দাস লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান। ১০ জনের ডায়মন্ড হারবারকে পেয়েও ভবানীপুর কোনওভাবেই খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনতে পারেনি। রেফারি সুরোজিৎ দাস খেলার রাশ টেনে ধরতে শুধু লাল কার্ড দেখিয়েছেন তাই নয়, দুই দলের পাঁচজন খেলোয়াড়কে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সাবধান করে দেন। ভবানীপুরের কাছে বড় ভরসা ছিলেন বিদ্যাসাগর সিং। সেই বিদ্যাসাগরকে ডায়মন্ড হারবারের রক্ষণভাগের তরুণ ফুটবলাররা বোতলবন্দি করে রেখে দিয়েছিলেন। ভবানীপুরের সব আক্রমণ বৃথা হয়ে যায়। ডায়মন্ড হারবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ১-০ গোলে জয় তুলে নিয়ে লিগ টেবলে তারা একধাপ এগিয়ে গেল।
অন্য ম্যাচে ইউনাইটেড কলকতা স্পোর্টস ক্লাব মুখোমুখি হয়েছিল খিদিরপুর স্পোর্টিং ক্লাবের বিরুদ্ধে। ইউনাইটেড কলকাতা একতরফা ফুটবল খেলে ৪-০ গোলে জয় তুলে নিল খিদিরপুরের বিরুদ্ধে। জয়ী দলের হয়ে গোল করেন ভিনিল পূজারী, তুহিন শিকদার ও আকাশ ওঁরাও। আর একটি গোল আসে পেনাল্টি থেকে জিতেন মুর্মুর পা থেকে।