• facebook
  • twitter
Friday, 13 December, 2024

বাংলার খুদে দাবাড়ু অনীশের বিশ্বরেকর্ড

ছেলের কৃতিত্বে উচ্ছ্বসিত মা-বাবা এখনই সেইভাবে প্রচারে আসতে চান না। আবার ছাত্রের কৃতিত্বে দিব্যেন্দু বড়ুয়া প্রশংসায় পঞ্চমুখ। অনীশ যখন দিব্যেন্দুর কাছে খেলা শিখতে এসেছিল, তখন না নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।

বাংলার খুদে দাবাড়ু অনীশ সরকার

অবিশ্বাস্য! অভাবনীয়! বিস্ময় করার মতো কাহিনি। বাংলার খুদে দাবাড়ু অনীশ সরকার সবাইকে অবাক করে দিয়ে বিশ্বের কনিষ্ঠতম দাবাড়ু হিসেবে ফিডে রেটিং পেয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেলল। পাঁচ বছর বয়সে ভারতের তেজস তিওয়ারির রেকর্ডকে পিছনে ফেলে দিল কৈখালির বাচ্চা ছেলে অনীশ সরকার। অনীশের আবদার ছিল যদি জিততে পারি, তাহলে আমাকে চিকেন বিরিয়ানি দিতে হবে। আর হেরে গেলে মাটন বিরিয়ানি দিলেই হবে। এক অদ্ভুত চাও অনীশের। অনীশকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় ভরপুর গ্র্যান্ড মাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়া।

উল্লেখ্য করা যায় গত বছর পুজোর সময় অনীশের মামা তাকে উপহার দিয়েছিলেন দাবা বোর্ড। এই বছর জানুয়ারি মাসে তিন বছরে পা দেওয়া অনীশের সেই উপহার বোধ হয় জীবনটাই বদলে দিল। সেন্ট জেমস স্কুলের লোয়ার নার্সারির ছাত্র অঙ্ক কষতে ভালবাসে। সেই কারণেই তাকে দাবা বোর্ড উপহার দেন মামা। পরিবারের লোকজনের মনে হয়েছিল দাবা খেলে অনীশের বুদ্ধি আরও ক্ষুরধার হবে। সেই ভাবনায় যে ভুল ছিল না তা প্রমাণ করে দিয়েছে সে। এখন দাবাই তার কাছে সবচেয়ে বড় সম্পদ। সারা দিন ডুবে থাকে পড়াশোনা আর দাবা নিয়েই। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে অনীশের বাবা স্কুলশিক্ষক। মা গৃহবধূ। তাই সময় পেলেই ছেলের সঙ্গে দাবা নিয়ে মেতে থাকতে ভালোবাসে।

ছেলের কৃতিত্বে উচ্ছ্বসিত মা-বাবা এখনই সেইভাবে প্রচারে আসতে চান না। আবার ছাত্রের কৃতিত্বে দিব্যেন্দু বড়ুয়া প্রশংসায় পঞ্চমুখ। অনীশ যখন দিব্যেন্দুর কাছে খেলা শিখতে এসেছিল, তখন না নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। পরবর্তীতে দিব্যেন্দুর চেস একাডেমির ছাত্র হয়ে মুখ উজ্জ্বল করল এই অনীশ সরকার। অনীশের খাওয়াদাওয়ার প্রতি একটা অন্য আকর্ষণ আছে। ফিশ ফ্রাই তার পছন্দের। আবার ফাস্ট ফুডের প্রতিও তার বেশ ঝোঁক আছে। বলতে দ্বিধা নেই, দুধ-রুটি না খেলে তার নাকি রাতে ঘুম হয় না। তাই মাও ছেলের জন্য দুধ-রুটি তৈরি করে রাখেন সময়মতো। ৩ বছর ৮ মাস ১৮ দিন বয়সে পাওয়া সাফল্যে অনীশকে নিয়ে খুশি প্রত্যেকেই। নিঃসন্দেহে বলা যায়, অনীশ সরকার দাবাড় বোর্ডে বিস্ময় খুদে খেলোয়াড়। আগামী দিনে তার আরও বড় হওয়ার স্বপ্ন অবশ্যই কথা বলবে বলে বিশ্বাস।