• facebook
  • twitter
Friday, 11 October, 2024

চাকরিহারা কর্মীদের কী ভোটের ডিউটি থেকে সরানো হবে? দুশ্চিন্তায় নির্বাচন কমিশন

নিজস্ব প্রতিনিধি– দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের নিয়োগ সোমবার বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ উচ্চ আদালতের এই রায় বড় রকমের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে৷ কারণ ইতিমধ্যেই রাজ্যে লোকসভা নির্বচন শুরু হয়ে গিয়েছে৷ শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের ভোটের কাজে লাগানো বহু দিনের প্রচলিত নিয়ম৷ প্রিসাইডিং অফিসার টু থ্রি পদে

নিজস্ব প্রতিনিধি– দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের নিয়োগ সোমবার বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ উচ্চ আদালতের এই রায় বড় রকমের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে৷ কারণ ইতিমধ্যেই রাজ্যে লোকসভা নির্বচন শুরু হয়ে গিয়েছে৷ শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের ভোটের কাজে লাগানো বহু দিনের প্রচলিত নিয়ম৷ প্রিসাইডিং অফিসার টু থ্রি পদে নিয়োগ করা হয়৷ আর গ্রুপ সি ও ডি কর্মীদের ভোটকর্মী হিসাবে নিয়োগ করা হয়৷

এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় মৌলিক প্রশ্ন হল, হাইকোর্টের নির্দেশে যাদের চাকরি বাতিল হল তাঁরা কী ভোটের ডিউটি করতে রাজি হবেন? তাঁরা যদি ভোটের ডিউটি করতে অস্বীকার করে তবে শেষ মুহূর্তে কাদেরকে ডিউটি করতে পাঠানো হবে? এছাড়াও যাঁদের চাকরি বাতিল হল তাঁরা কেউই তো কার্যত আর সরকারি কর্মচারী রইলেন না৷ তাহলে কীসের ভিত্তিতে তাঁদের ভোটের ডিউটিতে পাঠানো হবে?

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এদিন জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার চাকরিহারা মানুষদের পাশে আছেন৷ তিনি এও আশ্বাস দিয়েছেন যে রাজ্য সরকার হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবে৷ সুপ্রিম কোর্ট যদি হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় তা হলে প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি আপাতত থাকবে৷ সুপ্রিমকোর্টের শুনানি পেতে দেরি হলে নির্বাচন কমিশন বিপাকে পড়তে পারে৷ কারণ রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোট ২৬ এপ্রিল৷
যে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে তাঁদের মধ্যে ১২ হাজার ৯৪৬ জন সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছিলেন নবম ও দশম শ্রেণীর জন্য শিক্ষক পদে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ৫৭৫৬ জন৷ গ্রুপ সি পদে ২০৬৭ জন এবং গ্রুপ ডি পদে ৪৫৫০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল৷ তবে এই ২৫৭৫৩ জনের মধ্যে কতজনের ভোটের ডিউটি পড়েছিল সেই তথ্য নির্বচন কমিশনের কাছে নেই৷ ফলে দ্বিতীয় দফার ভোটের আগেও নির্বাচন কমিশনের কাছে পরিষ্কার নয় যে কারা ভোটের ডিউটি করবেন৷