• facebook
  • twitter
Friday, 4 October, 2024

দুই চক্রী কলকাতার চাঁদনীচক মার্কেটে মোবাইল সারাই করতে এসেছিলেন

বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ড নিজস্ব প্রতিনিধি— বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে জডি়ত এক জঙ্গি চাঁদনী চক মার্কেটে মোবাইল সারাই করতে গিয়েছিলেন৷ ইতিমধ্যেই সেই দোকানে একাধিকবার ঘুরে গিয়েছেন এনআইএর আধিকারিকেরা৷ বেঙ্গালুরু ক্যাফের বিস্ফোরণ কান্ডের দুই চক্রী কলকাতার চাঁদনীচক মার্কেটে মোবাইল সারাই করতে এসেছিলেন বলে জানতে পেরেছে এনআইএ আধিকারিকেরা৷ ইতিমধ্যেই সেই দোকানে ঘুরেও গিয়েছেন তদন্তকারীরা৷ শুধু তাই নয়

বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ড

নিজস্ব প্রতিনিধি— বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে জডি়ত এক জঙ্গি চাঁদনী চক মার্কেটে মোবাইল সারাই করতে গিয়েছিলেন৷ ইতিমধ্যেই সেই দোকানে একাধিকবার ঘুরে গিয়েছেন এনআইএর আধিকারিকেরা৷ বেঙ্গালুরু ক্যাফের বিস্ফোরণ কান্ডের দুই চক্রী কলকাতার চাঁদনীচক মার্কেটে মোবাইল সারাই করতে এসেছিলেন বলে জানতে পেরেছে এনআইএ আধিকারিকেরা৷ ইতিমধ্যেই সেই দোকানে ঘুরেও গিয়েছেন তদন্তকারীরা৷ শুধু তাই নয় জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন দোকানের কর্মচারীদের৷ ওই দোকানের এক কর্মী আব্দুল সংবাদমাধ্যমে জানান, যে ফোনটি তাঁদের কাছে সারাই করতে দেওয়া হয়েছিল তা ঠিক করা যায়নি৷ দোকানের কর্মীদের ধৃত দুজনের ছবি দেখানো হলে তাঁদের মধ্যে একজনকে তাঁরা চিনতেও পেরেছেন৷ ওই কর্মী আরও জানিয়েছেন, গত ১২ মার্চ ওই ব্যক্তি ফোন সারাতে তাঁদের দোকানে এসেছিলেন৷ আব্দুলের কথায়, ‘একজনই এসেছিলেন আমাদের দোকানে৷ মোবাইলের অডিওতে সমস্যা হচ্ছিল৷ শব্দ হচ্ছিল না৷ আমরা বেশ কিছুক্ষন মোবাইলটি পরীক্ষা করে দেখি৷ ঠিক করার চেষ্টা করি৷ কিন্ত্ত কাজ হয়নি৷ ওঁকে বলেছিলাম, একদিনের জন্য মোবাইলটি আমাদের দোকানে রেখে যেতে৷ তাই করেছিলেন৷ কিন্ত্ত পরের দিনও মোবাইলটি সারানো যায়নি৷ তাই ব্যক্তিকে মোবাইলটি ফেরত দিয়ে দিই পরের দিন সকালে৷ তারপর আর কেউ আসেননি৷’ ওই দোকানের কর্মচারীরা জানিয়েছে চাঁদনী চকের দোকানটিতে বিকেল চারটে নাগাদ এসেছিলেন অভিযুক্ত৷ সন্ধ্যে সাডে় সাতটা পর্যন্ত ছিলেন৷ আব্দুল আরও জানিয়েছেন, যে মোবাইলটি তাঁদের দেওয়া হয়েছিল৷ তাতে কোনও সিম কার্ড ছিল না৷ তাই সারানোর সময় নিজেদের সিম মোবাইলে লাগিয়ে তাঁরা ফোন করে দেখেছিলেন৷ ধারণা করা হচ্ছে, সেখান থেকেই তদন্তকারীরা দোকানে সন্ধান পান৷ কারণ তার কিছুদিনের মধ্যেই ওই দোকানে ফোন আসে এনআইএর৷ ওই দোকানে সিসি ক্যামেরা থাকলেও তাতে ২৫ দিনের বেশি পুরনো ছবি না থাকায়, ওই ব্যক্তির দোকানে আসার ফুটেজ পাওয়া যায়নি৷ মোবাইল সারানোর জন্য অভিযুক্ত চাঁদনী চকের দোকানে ১০০ টাকা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন আব্দুল৷ এ বিষয়ে আব্দুল জানিয়েছেন, ‘মোবাইলটি দোকানে রেখে উনি বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন৷ আওয়াজের সমস্যা মিটেছে কিনা দেখতে তাই আমরা নিজেদের সিম মোবাইলে ভরে ফোন করে দেখি৷ পরের দিন মোবাইল নিতে উনি আবার এসেছিলেন৷ তারপর এনআইএ আধিকারিকেরা আসেন আমাদের দোকানে৷ আমাদের যা যা জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, যতটুকু মনে করতে পেরেছি, বলেছি৷ তদন্তে সহযোগিতা করেছি৷’ প্রসঙ্গত ব্যাঙ্গালুর ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম দুই অভিযুক্ত মুসাভির হুসেন সাজিব এবং আব্দুল মাথিন তাহাকে শুক্রবার দিঘার হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ এনআইএ এবং রাজ্য পুলিশের যৌথ অভিযানে তাঁরা ধরা পডে়ন৷

বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডের দুই মূল অভিযুক্ত এক মাস ধরে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন৷ বিভিন্ন হোটেলে কাটিয়ে ছিলেন রাত৷ সেই সমস্ত ছবি এখন প্রকাশ্যে৷ কিন্ত্ত এখানে এসে কোন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করেছিলেন কিনা? কিংবা হোটেল ছাড়া অন্য কোন জায়গায় থেকেছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখছে এনআইএর তদন্তকারীরা৷ শুক্রবার সকালে দীঘার হোটেল থেকে গ্রেফতার হয় ব্যাঙ্গালোর কাফে বিস্ফোরণকাণ্ডের দুই মূল অভিযুক্ত মুসাভির হুসেন সাজিব এবং আব্দুল মতিন আহমেদ তাহা৷ তারপরেই এদের সম্বন্ধে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এরা শহরে কখনও অটোতে, কখনও বাসে চেপে ঘোরাফেরা করেছেন৷ বিভিন্ন হোটেলেও গিয়েছেন৷ যে সমস্ত হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ এখন প্রকাশ্যে এসেছে৷ জানা গিয়েছে, গত ১২ মার্চ থেকে ১৪ মার্চ ধর্মতলা ও লেলিন সরণি দুটি হোটেল বদলে রাত কাটিয়েছিলেন তাঁরা৷ এরপর ২১ থেকে ২৮ মার্চ খিদিরপুর ও একবালপুরের হোটেলে ছিলেন তাঁরা৷ এর মাঝের সময় অর্থাৎ ১৪ থেকে ২১ মার্চ ওই দুজন কোথায় ছিলেন তা এখনো স্পষ্ট নয় গোয়েন্দাদের কাছে৷ এরপর ২৮ মার্চ দুপুরের পর তাঁরা দীঘায় চলে যান৷ গতকাল শুক্রবার তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ১০ থেকে ১২ এপ্রিল একটি হোটেলে কাটিয়েছিলেন তাঁরা৷ সঠিক সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা৷ কিন্ত্ত ২৮ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিল কোথায় ছিলেন তারা, সেটাই জানার চেষ্টা করছেন এনআইএর গোয়েন্দারা৷ তাঁরা অন্য কোনও হোটেলে গিয়ে উঠেছিলেন, নাকি ঘনিষ্ঠ কারোর কাছে গিয়েছিলেন, অভিযুক্তদের জেরা করে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা৷ এনআইএর তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, কলকাতায় এসে ওই ওই দুই যুবক কালীঘাট ব্রিজের কাছ থেকে অটোতে চেপে একবালপুর গিয়েছিলেন৷ সেই বিষয়েও খোঁজখবর নিচ্ছে তদন্তকারীরা৷