আমিনুর রহমান, বর্ধমান, ২৯ জুন: টাকার বিনিময়ে ফুটপাত দখলের অভিযোগ এনে এবার নিজের দলের কাছে প্রশ্নের মুখে পড়লেন বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফুটপাত দখল, সরকারি জমি জবরদখল নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। তার পর পরই বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান ক্ষোভের সঙ্গে খোলামেলা ভাবেই বলেছিলেন বর্ধমানে জবরদখল হয়েছে সবই টাকার বিনিময়ে। এমনকি এ ব্যাপারে ব্যাবস্থা নিতে গেলে দাদা, কাকা,মামা দিখিয়ে দেওয়া হয়। নাম না করে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ওই ধরনের মন্তব্য করেন তিনি। আর ওই ঘটনার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান কে এক চিঠি দেওয়া হলো। যে চিঠির কথা জানাজানি হবার পর তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরেই জল্পনা তুঙ্গে।
তবে এ বিষয়ে একটা শব্দও খরচ করেন নি পরেশ বাবু। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর রাজ্যের অনান্য পৌরসভার মতো বর্ধমানেও তড়িঘড়ি ব্যাবস্থা নিতে উদ্যোগ নেন চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার। কাজে নেমে বিশেষ করে শহরের রাস্তা বেদখল হওয়া নিয়ে কাজে নেমে বাধার মুখে পরেন। আর তার পরেই বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেন নেতাদের এবং রাজনৈতিক মদতে সব অনিয়ম হয়েছে টাকার বিনিময়ে। দৈনিক স্টেটসম্যান সহ কয়েকটি সংবাদপত্রে ওই খবর পকাশের পরই নড়েচড়ে বসে তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবারই বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান কে দলের তরফে চিঠি দেওয়া হয়। কেন ওই ধরনের মন্তব্য তা জানতে চিঠি দেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। যদিও ওই চিঠিকে কোন ভাবেই শোকজ বলতে নারাজ পরেশবাবু। তিনি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি। শুধুমাত্র বলেন কিছু বিষয় দল জানতে চেয়েছে। এটা সম্পূর্ণ দলীয় ব্যাপার,যথা সময়ে দলকে সব কিছু জানিয়ে দেওয়া হবে।
Advertisement
পরেশবাবু বলেন ” আমি দলের একজন কর্মী, সেক্ষেত্রে দলের সভাপতি আমার অভিভাবক হিসাবে চিঠি দিয়েছেন,আমিও সবকিছু জানাতে বাধ্য। সব কিছু হবে নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে, তবে তার আগে কোন কিছুই বলতে পারছি না। ” তবে পরেশবাবু কোন কিছু না বললেও দলের কয়েকজন নেতার দাবি যাদের বিরুদ্ধে এই মন্তব্য তারাই দলের জেলা শীর্ষ নেতাকে চাপ সৃষ্টি করে ওই চিঠি পাঠানোর ব্যাবস্থা করেছেন। তাই বলা যায় সব বিষয় টি নিয়ে এবার দলের অন্দরে চাপান উতোর শুরু।
Advertisement
Advertisement



