নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, ১৩ জুন– ক্যানিংয়ের জীবনতলার ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার তামুলদার বাসিন্দা ২১৮ নং বুথের সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ মন্ডলকে বুধবার ডেকে নিয়ে যায় বন্ধুরা। অনেক রাত হলেও বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ বাবু না ফেরায় খোঁজ খবর করলে বাড়ি থেকে একশো মিটার দূরে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা ও ক্যানিংয়ের এসডিপিও। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, রবীন্দ্রনাথ মন্ডলকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।
ইতিমধ্যে পুলিশের তরফে রবীন্দ্রনাথ মন্ডলের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অনেক রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে পড়ে গিয়ে মৃত্যু, নাকি পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে জানা যাবে। জীবনতলা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ৬জনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
Advertisement
এদিকে মৃতের স্ত্রী সংবাদ মাধ্যমের কাছে ক্রন্দনরত অবস্থায় জানিয়েছেন, তাঁর স্বামীকে পাপ্পু মন্ডল নামে একজন বুধবার সকাল এগারোটা নাগাদ ডেকে নিয়ে যান। দুজনে গাড়িতে বেরিয়ে যায়। পাপ্পু সব জানে। ওকে ধরলেই জানা যাবে তাঁর স্বামীকে কারা মেরেছে। মৃতের শরীরে নাকি একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
Advertisement
সূত্রের খবর, মৃত রবীন্দ্রনাথ মন্ডল নাকি টাকা ধার করেছিলেন। সেই টাকা ফেরত চাওয়া নিয়ে গন্ডগোল, নাকি ভোটের সময়ে বা তার আগে নিজের দলের মধ্যেই কারও সঙ্গে বচসা হয়েছিল কিনা বুথ সম্পাদক হিসেবে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এবিষয়ে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা সংবাদ মাধ্যমে জানান, মৃত রবীন্দ্রনাথ তাঁর বিধানসভা এলাকার বুথ সম্পাদক ছিলেন। ভালো ছেলে। এই মৃত্যুর পিছনে যাঁরাই থাকুক, কাউকে ছাড়া হবে না। আইন আইনের পথে চলবে। শোকার্ত পরিবারের পাশে আছেন তিনি ও তাঁর দল।
Advertisement



