• facebook
  • twitter
Sunday, 10 November, 2024

সকালে বলেন, রাতে ভুলে যান! রাজ্যপালকে কটাক্ষ ব্রাত্যর

নিজস্ব প্রতিনিধি— রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ আটকে রয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের জন্যই৷ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শনিবার এমনটাই অভিযোগ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷ কারণ, রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও রাজভবন নিষ্ক্রিয়৷ ফলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না৷ রাজ্যপালকে কাঠগড়ায় তুলে শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, রাজ্যপাল কখন কী বলেন, তা ঠিক থাকছে না৷ সকালে কিছু

নিজস্ব প্রতিনিধি— রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ আটকে রয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের জন্যই৷ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শনিবার এমনটাই অভিযোগ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷ কারণ, রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও রাজভবন নিষ্ক্রিয়৷ ফলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না৷ রাজ্যপালকে কাঠগড়ায় তুলে শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, রাজ্যপাল কখন কী বলেন, তা ঠিক থাকছে না৷ সকালে কিছু বললে রাতে তা ভুলে যাচ্ছেন৷ বোসকে ‘অ্যালঝাইমার্সের’ রোগী বলেও দাবি করেন ব্রাত্য৷ দেশের শীর্ষ আদালত ইতিমধ্যে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে জট কাটানোর জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও সেই সঙ্গে রাজ্যপালকে আলোচনায় বসার পরামর্শ দিয়েছিল৷

কারণ, রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে রয়েছেন৷ যদিও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের লিখিত নির্দেশ নেই৷ এই নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্যপালের আইনজীবীকে৷ এরপর রাজ্য ও রাজভবনের মধ্যে আলোচনা হলেও, সেই বৈঠক থেকে সমাধান সূত্র মেলেনি৷ এবার রাজ্যপালকে সরাসরি কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী৷

এ প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘আমাদের সদিচ্ছার কোনও অভাব নেই৷ কিন্ত্ত আরেক পক্ষ যদি সদিচ্ছা না দেখায় সেক্ষেত্রে ফল যা হওয়ার তাই হচ্ছে৷ তৃণমূল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন ‘ওয়েবকুপা’৷ এই শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে এদিন সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল৷ ব্রাত্য বসু এই কমিটির সভাপতি৷ এদিকে, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আগামী ২০ এপ্রিল মামলার শুনানি রয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, তার কোনওটাই রাজ্যপাল রূপায়ণ করেননি বলে সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন রাজ্যের আইনজীবী৷