মোদীর গ্যারান্টি ১৪০ কোটি দেশবাসীর কাছে নিষ্ঠুর রসিকতা। ঝাড়খণ্ড-মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এভাবেই আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। ইস্তেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিয়ে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলির সরকারকে নিশানা করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। তারই পাল্টা জবাব দেন খাড়গে।
এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে প্রধানমন্ত্রী মোদী হিমাচল প্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং কর্নাটকে কংগ্রেসের গ্যারান্টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি লেখেন, কংগ্রেস ভালো করেই জানে যে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া সহজ কিন্তু তা সঠিকভাবে পূরণ করা কঠিন বা অসম্ভব। ওরা জনগণকে এমন প্রতিশ্রুতি দেয়, যা কখনই পূরণ করতে পারবে না। কংগ্রেসের আসল রূপ জনগণের সামনে ফাঁস হয়ে গিয়েছে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়ার নামে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে ওরা।
Advertisement
এদিকে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথাকেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেছেন, কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে এখন মানহানির ভয় পাচ্ছেন। জনসাধারণকে এই মিথ্যা ও মোহের জালে জড়িয়ে ওরা কিছু জায়গায় ক্ষমতায় আসলেও সেই কৌশল আর কাজ করছে না। কিছু রাজ্যে ওরা বেতনও দিতে পারছে না। আবার অনেক জায়গায় উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। জনগণ এখন কংগ্রেসের মিথ্যার ফাঁদে পা দেবে না। হরিয়ানাবাসী কংগ্রেসকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশের মানুষ জানে, উন্নয়ন ও জনস্বার্থের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর শাসনই উন্নয়নের গ্যারান্টি।
Advertisement
এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ট্যাগ করে কংগ্রেস সভাপতি খার্গে লিখেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি এখন ফাঁপা প্রমাণিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রতি বছর ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু ভারতে বেকারত্বের হার ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে তরুণদের স্বপ্ন ভেঙে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ মূল্যস্ফীতির কবলে পড়েছে।
হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুও প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন করেছেন। তিনি বলেন, হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস সরকার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে এবং রাজ্যজুড়ে উন্নয়নের কাজে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা গর্বিত যে ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় দেওয়া ১০টি গ্যারান্টির মধ্যে পাঁচটি ইতিমধ্যেই পূরণ করেছি।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘অবিশ্বাসী, প্রতিহিংসাপরায়ণ এবং অ-কর্মক্ষম নেতাদের’ কংগ্রেস সরকার নিয়ে প্রশ্ন করার অধিকার নেই। প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর প্রশ্ন, সুদিন কোথায় মোদীজি? অমৃতকাল কোথায়? আপনি (প্রধানমন্ত্রী) ২০২২ সালের মধ্যে সবার জন্য আবাসন, ১০০টি স্মার্ট সিটি সম্পর্কে জনগণকে যে মিথ্যা বলেছেন তার কী হয়েছে? প্রধানমন্ত্রীর উচিত, কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের উদ্যোগে বাস্তবায়িত জনকল্যাণমূলক ‘গ্যারান্টি’র প্রশংসা করা।
Advertisement



