• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

জোট প্রধানমন্ত্রী

তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদি৷ নবগঠিত সরকার মোটেই মোদি সরকার নয়, জোট শরিকদের সরকার বলে মন্তব্য করেছে বিরোধীরা৷ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এনডিএ’কে তির্যকভাবে বলা হয়েছে, ‘নরেন্দ্র ডেস্ট্রাকটিভ অ্যালায়েন্স’৷ বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায় মোদি হলেন ‘নরেন্দ্র ধ্বংসাত্মক জোট’-এর নেতা৷ একই সঙ্গে ‘নেতৃত্ব দেওয়ার যাবতীয় বৈধতা হারিয়েও প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিচ্ছেন মোদি’ বলেও মন্তব্য করেছে

তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদি৷ নবগঠিত সরকার মোটেই মোদি সরকার নয়, জোট শরিকদের সরকার বলে মন্তব্য করেছে বিরোধীরা৷ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এনডিএ’কে তির্যকভাবে বলা হয়েছে, ‘নরেন্দ্র ডেস্ট্রাকটিভ অ্যালায়েন্স’৷ বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায় মোদি হলেন ‘নরেন্দ্র ধ্বংসাত্মক জোট’-এর নেতা৷ একই সঙ্গে ‘নেতৃত্ব দেওয়ার যাবতীয় বৈধতা হারিয়েও প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিচ্ছেন মোদি’ বলেও মন্তব্য করেছে কংগ্রেস৷ আর সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ সিং যাদব পরিষ্কার বলেছেন, ‘এই সরকারের ভবিষ্যৎ সুতোর উপরে ঝুলছে৷’ আর আরজেডি মনে করে, এটা মোটেই মোদি সরকার নয়৷ আপ কটাক্ষ করেছে ‘সবচেয়ে দুর্বল প্রধানমন্ত্রী’ বলে৷

কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ মনে করেন, ‘মোদির ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক ও নৈতিক পরাজয় হয়েছে৷’ এর সঙ্গেই বিজেপির গতবারের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ আসন হারানোকে কটাক্ষ করে জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘‘৩০৩ থেকে ৩৪০-এ নেমে গিয়ে সমস্ত বৈধতা হারিয়েও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি৷ এ কারণেই মোদিকে ‘নরেন্দ্র ডেস্ট্রাকটিভ অ্যালায়েন্সের’ নেতা বলা যায়৷’’

Advertisement

ধনকুবেরদের প্রতি মোদির ‘দরদি’ মনোভাব নিয়েও তির্যক মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র৷ ‘ধনকুবের কর’ বসানো নিয়ে যে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ চলছে তাতে ভারতের অর্থমন্ত্রী কি সমর্থন জানাবেন? এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মানুষের পাশে না ধনকুবেরদের পাশে দাঁড়াবেন, তাও জানতে চেয়েছেন জয়রাম রমেশ৷ কালো টাকা উদ্ধারের মতো প্রগতিশীল উদ্যোগে ভারত সামিল হবে কিনা, তাও জানতে চান তিনি৷ এ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে রমেশ লিখেছেন, ‘চলতি বছরে এক-তৃতীয়াংশ প্রধানমন্ত্রীর একটা সুযোগ থাকবে যে তিনি ধনকুবেরদের পাশে দাঁড়াবেন না সাধারণ মানুষের! ব্রাজিলে জি-২০ শীর্ষ বৈঠকে ধনকুবেরদের ওপর ‘আন্তর্জাতিক নূ্যনতম কর’ বসানোর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা৷ ওই করকে ইতিমধ্যে সমর্থন করেছেন ব্রাজিল, ফ্রান্স, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জার্মানির অর্থমন্ত্রীরা৷

Advertisement

সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ সিং যাদব তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে নয়া এনডিএ সরকারকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘উপর সে কোই তার নেহি, নিচে কোই আদার নেহি, আধার মে জো লটকি হোই হ্যায় ও তো কোই সরকার নেহি’৷ অর্থাৎ এই সরকারের ভবিষ্যৎ সুতোর ওপর ঝুলছে৷ তাই একে মোদি সরকার বলা যাবে না৷ কারণ এই সরকারের ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে শরিকদের ওপর৷ বিশেষ করে জনতা দল (ইউ) এবং তেলুগু দেশমের (টিডিপি) সমর্থনের ওপর নির্ভর করছে মোদি কতদিন প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারেন৷

আরজেডি নেতা মনোজ ঝা বলেছেন, ‘বহুদিন বাদে কেন্দ্রে ফের জোট সরকার৷ মোদি সরকার নয়, গঠিত হল এনডিএ সরকার৷ আশা করছি এজন্যই এবার সমাজে মেরুকরণ কম ঘটানো হবে৷ দুর্বল অংশের মানুষের উন্নতি হবে এবং সরকার এবার ধান্দাবাজ পুঁজির মালিক ও দালালদের হাত থেকে মুক্ত হবে৷ যুব সম্প্রদায়ের কাছে এখন সবচেয়ে বড় বিষয় হল কর্মসংস্থান৷ ফলে সবচেয়ে বড় ইসু্য কর্মসংস্থান নিয়েই শরিকরা চাপ সৃষ্টি করবে নরেন্দ্র মোদির ওপর৷

আপ নেতা অলকা লাম্বা মনে করেন, তৃতীয়বার এসে সবচেয়ে দুর্বল প্রধানমন্ত্রী হলেন নরেন্দ্র মোদি৷ দল হিসাবে গরিষ্ঠতা অর্জনেও ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি৷ ৪০০ পারের হুঙ্কার দিয়েছিলেন যে নেতা, তাঁর দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল না৷

তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হলেন নরেন্দ্র মোদি৷ তবে এককভাবে নয়, শরিকদের সাহায্য নিয়ে৷ ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ছাড়া আর কেউ টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রী হননি৷ তবে মোদির ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলো, দু’টি দফায় সরকার চালানোর পর নেতা হিসেবে এবার গরিষ্ঠতা এনে দিতে পারেননি মোদি৷ এবারে তাঁকে জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হতে হচ্ছে৷ মোদি সরকার থেকে এবারে এনডিএ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন নরেন্দ্র মোদি৷ গুজরাতের ১৩ বচরের মুখ্যমন্ত্রী হোন বা ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার চালিয়েছেন মোদি৷ কোনও জোট সরকার চালানোর অভিজ্ঞতা তাঁর নেই৷ এবারে তাঁকে সেই কঠিন কাজটি করতে হবে৷

Advertisement