রাজ্যে ভোট মিটলেও থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী

Written by SNS May 22, 2024 6:22 pm

কলকাতা, ২২ মে:  রাজ্যে লোকসভা ভোট মেটার পরও থাকবে ৩২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোট পরবর্তী হিংসার আশঙ্কায় এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গত ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যজুড়ে ব্যাপকভাবে হিংসার অভিযোগ ওঠে। ভোট পরবর্তী সেই হিংসায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত হয় রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির নেতা কর্মীরা। অনেক মৃত্যুর অভিযোগও আসে। সেই প্রেক্ষাপট থেকে আগাম এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যাতে ২০২১-এর মতো হিংসার ঘটনা রাজ্যে ফের না ঘটে।

আগামী ৪ জুন লোকসভা ভোটের গণনা ও ফল ঘোষণা। সেই ফল ঘোষণার পর আরও ১৫ দিন রাজ্যে থাকবে ৩২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবিষয়ে সিআইএসএফ-এর কর্তা বলেন, ‘‘পরিস্থিতি অনুযায়ী, ১৫ দিন পর আরও বেশ কিছুদিন রাখা হতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তা-ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিকের বক্তব্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নয়, বিগত বছরে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা অবনতির একের পর এক বড় বড় ঘটনা ঘটে চলেছে। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে ইডি এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে এনআইএ-র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা শাসকদলের কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

উল্লেখ্য, গত ২০২১ সালের ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে বহু মামলা হয়। এই মামলার জেরে শাসকদলের বেশ কয়েকজন এখনও জেলে রয়েছে। হাই কোর্টের নির্দেশে এইসব মামলার তদন্তভার নিয়ে ৩০টিরও বেশি মামলা দায়ের করে সিবিআই। এবারও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে ভোট মিটলেই রাজ্যে সন্ত্রাসের পরিবেশ ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নেওয়া হয়, তাহলে এবারও সেই হিংসার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। রাজ্য জুড়ে শুরু হতে পারে সংঘর্ষ। সেজন্য কেন্দ্রীয় ভোটের ফল প্রকাশের পর প্রথমে ১৫ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে দেখা হবে পরিস্থিতি কোনদিকে। যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়, তাহলে আরও বেশ কিছুদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হতে পারে। সিআইএসএফ, সিআরপিএফ, বিএসএফ এবং এসএসবি মিলিয়ে ৩২০ কোম্পানি রাজ্যের কিছু বাছাই করা এলাকায় মোতায়েন করা হবে।

এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে শুধু ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নয়, গত বছর নানা ধরণের হিংসার ঘটনা ঘটে চলেছে। একাধিক জায়গায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরাও আক্রান্ত হয়েছেন।