বিহারে প্রার্থী তালিকায় মাফিয়া’র ছড়াছড়ি

অনন্ত সিংহ (Photo: IANS)

২৮ অক্টোবর থেকে তিন দফায় বিধানসভা নির্বাচন বিহারে। তার আগে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে থাকা অপরাধের তালিকা প্রকাশ করতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। এতেই প্রার্থী তালিকায় মাফিয়া’র ছড়াছড়ির বিষয়টি সামনে এসেছে।

আরজেডির যে সমস্ত নেতার নাম রয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য হলেন অনন্ত সিংহ। এ বছর তাঁকে মােকামা থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। সবমিলিয়ে অনন্তের বিরুদ্ধে মােট ৩৮টি গুরুতর অপরাধের মামলা ঝুলছে। এর মধ্যে খুনের মামলাই রয়েছে ৭টি। এ ছাড়াও রয়েছে অপহরণ, জমি দখল, শ্লীলতাহানি এবং খুনের চেষ্টার মতাে মামলাও।

২০০৭ সালে রেশমা খাতুন নামের একটি মহিলার শ্লীলতাহানি এবং খুনের মামলায় নাম জড়ায় অনন্তের। তবে তার জন্য রাজনৈতিক সুযােগ-সুবিধা থেকে কখনওই বঞ্চিত হননি অনন্ত। তাঁর স্ত্রী নীলমদেবীও নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনােনয়ন জমা দিয়েছেন। তাঁকে প্রার্থী করায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে বিহারে। আরজেডি-র যুক্তি, অন্যদের চেয়ে ঢের বেশি জনপ্রিয়তা অনন্ত সিংহের। দরিদ্র ও বঞ্চিত মানুষের একমাত্র সহায় তিনি। তাঁকে দাঁড় করানাের অর্থ জয় একরকম নিশ্চিত। 


তবে অনন্ত একা নন, আরজেডির বেলাগঞ্জের প্রার্থী সুরেন্দ্র যাদব, শাহপুরের প্রার্থী রাহুল তিওয়ারি, জামুইয়ের প্রার্থী বিজয় প্রকাশ, নােখার প্রার্থী অনিতাদেবী, দেহরির প্রার্থী ফতেহ বাহাদুর সিংহ-সহ কমপক্ষে আরও ২০ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে তােলাবাজি, প্রতারণা এবং হামলা চালানাের মতাে গুরুতর মামলা রয়েছে।

কিন্তু মুজফ্ফরপুর শেলটার হােম কাণ্ডে অভিযুক্ত মঞ্জু বর্মাকে যারা টিকিট দিয়েছে, তাদের অন্য কোনও দলের সমালােচনা করা চলে না বলে জেডিইউ-কে পাল্টা আক্রমণ করেন আরজেডি মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারি। মঞ্জু বর্মা ছাড়াও, অমরেন্দ্র পান্ডে, মনােরমা দেবীর মতাে একাধিক অপরাধে অভিযুক্তদের ভােটে দাঁড় করিয়েছে জেডিইউ।

গােপালগঞ্জের তিন খুনের মামলায় স্থানীয় আরজেডি নেতার মা-বাবা এবং ভাইকে খুনে অভিযুক্ত অমরেন্দ্র পান্ডে। মাফিয়া ডন বিন্দি যাদবের স্ত্রী মনােরমাদেবীকে আত্রি থেকে দাঁড় করানাে হয়েছে। লােক জনশক্তি পার্টির চার বারের বিধায়ক সুনীল পান্ডে এ বার নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভােটে দাঁড়াচ্ছেন।

২০১২ সালে রণবীর সেনার প্রধান ব্রহ্মেশ্বর মুখিয়া হত্যায় নাম জড়িয়েছিল তাঁর। কুখ্যাত ডন মুখতার আনসারির খুনে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। একে-৪৭ রাখা নিয়ে এই মুহূর্তে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।