• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

বন্ডে হস্তক্ষেপে বিজেপির হাতছাড়া আরও ১০ হাজার কোটি

দিল্লি, ৩০ মার্চ– ইলেকটোরাল বন্ড চালু হবার পর থেকে সব থেকে বেশি অর্থ জমা পড়েছে মোদির বিজেপির তহবিলে৷ সেই রোজগার নিয়েই জানা গেল সুপ্রিম কোর্ট ইলেক্টোরাল বন্ডকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করায় বিজেপির আরও ১০ হাজার কোটি রোজগার আটকে যায়৷ কারণ লোকসভা নির্বাচনের মুখে নির্বাচনী বন্ড বাবদ আরও দশ হাজার কোটি টাকা তোলার অনুমতি দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি

দিল্লি, ৩০ মার্চ– ইলেকটোরাল বন্ড চালু হবার পর থেকে সব থেকে বেশি অর্থ জমা পড়েছে মোদির বিজেপির তহবিলে৷ সেই রোজগার নিয়েই জানা গেল সুপ্রিম কোর্ট ইলেক্টোরাল বন্ডকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করায় বিজেপির আরও ১০ হাজার কোটি রোজগার আটকে যায়৷ কারণ লোকসভা নির্বাচনের মুখে নির্বাচনী বন্ড বাবদ আরও দশ হাজার কোটি টাকা তোলার অনুমতি দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার৷ কিন্ত্ত বাধ সাধল সুপ্রিম কোর্ট ইলেক্টোরাল বন্ডকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করায়৷ সরকারি সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে৷

সরকারি সূত্রের খবর, ২০১৮-তে ইলেক্টোরাল বন্ড চালুর পর থেকে ২০২৪ – আদালত নিষেধাজ্ঞা জারির আগে পর্যন্ত মোট ষোলো হাজার কোটি টাকার বন্ড বিক্রি করেছে এসবিআই৷ ছয় হাজার কোটির সামান্য কম অর্থ জমা পড়েছে বিজেপির তহবিলে৷

Advertisement

আদালত বন্ড নিয়ে হস্তক্ষেপ না করলে ওই দশ হাজার কোটি টাকা এবারের লোকসভা ভোটে ব্যয় করা হত, এতে কোনও সন্দেহ নেই৷ যেমন সংশয় নেই বেশিরভাগ টাকাই যেত বিজেপির ঘরে৷ দেশের শীর্ষ আদালত বন্ড মারফত থেকে টাকা তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারির আগে পর্যন্ত দেখা গিয়েছে ওই খাতে জমা হওয়া টাকার অর্ধেকের সামান্য কম অর্থ জমা পড়েছে বিজেপির তহবিলে৷

Advertisement

আসন্ন লোকসভা নির্বাচন নিয়ে প্রার্থীদের খরচের সর্বোচ্চ সীমা বেধে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন৷ সেই অনুসারে লোকসভা নির্বাচনে এবার প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ৯৫ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন৷ ৪০ লাখ টাকা খরচ করা যায় বিধানসভা ভোটে৷ ২০১৯-এ এই অঙ্ক ছিল যথাক্রমে ৭৪/লাখ ও ২৮ লাখ টাকা৷ অবশ্য, ছোট ও কেন্দ্র শাসিত রাজ্যে টাকার অঙ্ক কম৷

লক্ষণীয় হল, প্রার্থীদের খরচের উপর ঊর্ধ্বসীমা থাকলেও পার্টির খরচের উপর কোনও বিধিনিষেধ নেই৷ রাজনৈতিক দল যত ইচ্ছে খরচ করতে পারে৷ ফলে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আরও দশ হাজার কোটির বন্ড বাজারে ছাড়লে সেই টাকাও আসন্ন ভোটে খরচ হত সন্দেহ নেই৷

Advertisement