সােমবার রাজ্যে প্রচারে এসে প্রথমে বনগাঁ,তারপর বহরমপুর এবং সেখান থেকে কালনা ও সবশেষে হুগলিতে সভা করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যােগী আদিত্যনাথ।এদিন বিকালে হুগলি লােকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চ্যাটার্জির সমর্থনে বাঁশবেড়িয়ার পঞ্চাননতলা মাঠে জনসভায় কংগ্রেস ও তৃণমুলকে তুলােধােনা করেন যােগী।
আসন্ন লােকসভা ভােটে উত্তরপ্রদেশের আমেঠি ও কেরলের ওয়ানেড কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি।তাঁর মনােনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযােগও করা হয়।সেই অভিযােগে বলা হয় রাহুল তথ্য গােপন করেছেন।কারণ ব্রিটেনে তিনি অন্য নামে আয়কর জমা দেন।যদিও সােমবার নির্বাচন কমিশন এই অভিযােগ খারিজ করে রাহুল গান্ধির মনােনয়ন বৈধ বলে ঘােষণা করেছে।
Advertisement
এই নিয়েই জনসভা থেকে রাহুলকে সরাসরি আক্রমণ করে যােগী বলেন ভারতে তার নাম রাহুল গান্ধি,আর ব্রিটেনে রাউল ভিঞ্চি।তাই যারা নিজের নাম ও পরম্পরায় গর্ব অনুভব করেন না তারা আবার ভারতের কি উপকার করবেন? ”গরিবদের আর্থিক অনুদান দেওয়ার ঘােষণা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞাকে তােয়াক্কা না করেই যােগী বলেন,এদেশের যে টাকা চুরি করে ইতালিতে রেখেছেন,এখন সেই টাকা থেকেই গরিবদের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি।
Advertisement
অন্যদিকে এদিন মমতা ব্যানার্জি ও তৃণমূল সরকারেরও সমালােচনা করেন যােগী আদিত্যনাথ।তিনি বলেন,উত্তরপ্রদেশেও হিন্দু-মুসলমান একসাথে বসবাস করে এবং প্রত্যেকেই নিজেদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান একসাথে পালন করে।কিন্তু বর্তমানে বাংলায় হিন্দুদের আচার অনুষ্ঠান পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে।কোথাও দুর্গা পুজোর বিসর্জনের শােভাবাত্রায় বাধা দেওয়া হচ্ছে,তাে কোথাও রামনবমীর মিছিলে পাথর ছোঁড়া হচ্ছে।বিজেপি কর্মীদের ঘর, বাড়ি ভাঙচুরও করা হচ্ছে।তিনি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন,(দিদি)দাদাগিরি না করে লােকতন্ত্রকে বিশ্বাস করা উচিত।
বিগত পঞ্চায়েত ভােট প্রসঙ্গে তিনি বলেন,সেই সময় বিজেপি প্রার্থীদের বেছে বেছে মারা হয়েছে,মনােনয়ন জমা করতে দেওয়া হয়নি।এখানকার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সাথে উত্তরপ্রদেশের সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৈষম্যের প্রসঙ্গ টেনে বঞ্চনা হচ্ছে বলে তিনি জানান। এমনকি তিনি বেকার সমস্যা ও কৃষকদের বঞ্চনার কথাও বলেন।যােগী উত্তরপ্রদেশের এক সময়ের বাহুবলী শাসনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন,সেখানেও অনেকে দাদাগিরি করেছেন।কিন্তু এখন তাদের কেউ কেউ জেলে।বাকিরা ইহ জগতের মায়া ত্যাগ করেছেন।
এদিন তিনি বলেন,“রাজ্যে সাধারণ মানুষদের সম্মান করুন,না হলে তারাই একদিন আপনাকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে।”এদিনের যােগীর জনসভাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিজেপি নেতাদের যে গােষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছিল তাও মুছে যায়।
একইসঙ্গে মঞ্চে যােগীকে মালা পরানাের পাশাপাশি লকেট চ্যাটার্জিকে জেতানাের জন্য আহ্বান জানাতে দেখা যায় হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুবীর নাগ,রাজকুমারী কেশরী ও স্বপন পালকে। সভায় বিজেপি কর্মীদের উপস্থিতি ও উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত।
Advertisement



