শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে আমদানি-রপ্তানি মামলায় ১৩৭ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি— শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে আমদানি রপ্তানি মামলায় ১৩৭ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ আনল ইডি৷ তদন্তে ইডি আধিকারিকারা জানতে পেরেছেন চিংডি় ব্যবসার আড়ালে ১৩৭ কোটি কালো টাকা সাদা করেছেন শাহজাহান৷ মাছের রপ্তানির কাজ করা, দুটি সংস্থার মাধ্যমে শাহজাহানের সংস্থায় এই পরিমাণ টাকা ঢুকেছিল বলে দাবি ইডির৷ তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, শাহজাহান পাইকারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন৷ আর তাঁর নিয়ন্ত্রিত এসকে সাবিনা ফিশারী সংস্থায় ম্যাগনাম এক্সপোর্টস এর মাধ্যমে ১০৪ কোটি টাকা ঢুকেছিল৷ ২০১২ থেকে ২০২২ এবং ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ওই টাকা ঢুকেছিল বলে জানতে পেরেছে ইদি আধিকারিকেরা৷ আবার অনুপ কুমার সোম নামে এক ব্যবসায়ী থেকে ২০২৩ চব্বিশ অর্থবছরে ঢুকেছিল ৩৩ কোটি টাকা৷ চিংডি় মাছ কেনাবেচায় ভুয়া বিল বানিয়ে এই ১৩৭ কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে অভিযোগ৷ তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, শেখ শাহজাহানের চিংডি় মাছের ব্যবসার প্রায় ৪০ শতাংশ মাছের যোগান আসত অন্যের দখল করা ভেরি থেকে৷ মাত্র ১০ শতাংশ মাঠ আসত তাঁর নিজের ভেরি থেকে৷ আর বাকি ৫০ শতাংশ মাছ কেনা হত স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে৷ তদন্তে নাম উঠে এসেছে মহিদুল মোল্লা শাহজাহান নামে এক মাছ বিক্রেতার৷ তিনি শেখ সাবিনা ফিশারিজ সংস্থার ম্যানেজার৷ ইতিমধ্যেই মহিদুলের বয়ান রেকর্ড করেছি ইডি৷ সুত্রের খবর, সেই বয়ানেও মিলেছে বিস্ফোরক তথ্য৷ ২০১৯ সালে শাহজাহান মার্কেটে স্থানীয় চিংডি় ব্যবসায়ীদের নিয়ে মিটিং করেছিলেন শাহজাহান৷ সেখানে চিংডি় ব্যবসায়ীদের হুমকি দিয়ে বলা হয়েছিল, তাঁদের সব মাছ শাহজাহানকেই বিক্রি করতে হবে৷ বাইরে বিক্রি করলে তাঁদের ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ৷ তদন্তে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ অন্তত কুডি়জনের নাম পেয়েছে ইডি৷ এরা দখল করা ভেডি়র মালিক পরিচয়ে শাহজাহানকে মাছ বিক্রি করতেন, কিন্ত্ত এদের নিজস্ব কোনও ভেরি ছিল না৷ ইডি আধিকারিকেরা জানতে পেরেছেন, মাছ বিক্রির টাকা আবার চক্রাকারে পৌঁছে যে তো শাহজাহানের দুই ভাই, উত্তম সর্দার, শিবু হাজরার একাউন্টে৷ তাছাড়াও শাহজানের সাগরেদদের অ্যাকাউন্টেও টাকা ঢুকতো৷ পরে শাহজাহানের নির্দেশে সেই টাকা জমি কিনতে বা অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করা হত৷ এরকম একাধিক অ্যাকাউন্টের হদিস পেয়েছে ইডি৷