এক বছরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি পেয়েছে ১,৬০০ কোটি টাকা
খায়রুল আনাম– নারীর ক্ষমতায়নের অন্যতম উৎস যে তাঁদের কর্মসংস্থানের মধ্য দিয়ে স্বনির্ভর করার মধ্যে নিহিত রয়েছে, তা পুরুষ শাসিত সমাজে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য মহিলারা ক্রমশই সামনে নিয়ে আসছে তাঁদের সাফল্যের মধ্যে দিয়ে। এরাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা সরকারি সহায়তায় তাঁদের কাজের পরিধি ও পরিচিতি বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে রাজ্য ও দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক স্তরেও তাঁদের পরিচিতি গড়ে তুলতে পেরেছেন তাঁদের বাণিজ্যিক সফল কর্মধারার মধ্যে দিয়ে। আর এক্ষেত্রে রাজ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে বীরভূম জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। প্রয়াত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বোলপুরের সাংসদ থাকাকালীন সময়ে শান্তিনিকেতনের গোয়ালপাড়া এলাকায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য মহাসঙ্ঘ গড়ে তাঁদের জন্য নিজস্ব ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নিয়ে বিশেষ একটি ক্ষেত্রের সূচনাও করে গিয়েছিলেন।
Advertisement
এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ব্যক্তিগতভাবেও যাঁরা হস্তশিল্প, মুদিখানার মতো দোকান করে স্বাবলম্বি হতে চাইবেন, তাঁদেরও ব্যক্তিগতভাবে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যাঙ্ক ঋণ দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অবশ্যই অন্তত দু’বছরের পুরনো নথিভুক্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যা হতে হবে। তিনি যদি পূর্ববর্তী কোনও ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে থাকেন, তাহলে সেই ঋণ পরিশোধ করে তিনি ব্যাঙ্কে আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক তা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। সঠিকভাবে কার্যকরী না হওয়া ২০২২ সালে চালু হওয়া এই প্রকল্পে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে জেলায় ৮ হাজার ৫৬১ জনকে এই ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনিতেই রাজ্য সরকারের আনন্দধারা প্রকল্পের মাধ্যমে বিগত বছরে এজেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি সমষ্টিগতভাবে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে। তার পাশাপাশি এবার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর যে সব মহিলারা ব্যক্তিগতভাবে স্বাবলম্বী হতে চান, তাঁদেরই এবার ‘ইন্ডিভিজুয়াল এন্টারপ্রাইজ ফিনান্স’ হিসেবে একজন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যাকে সর্বনিম্ন ৭০ হাজার টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যাঙ্ক ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি বৃত্তসখী কমিউনিটি রিসোর্স পার্সনরা দেখভাল করবেন বলে জানা গিয়েছে।
Advertisement
Advertisement



