মঙ্গলবারের কর্মব্যস্ত কলকাতা-হাওড়ায় ভোগান্তির মুখে সাধারণ মানুষ। নবান্ন অভিযান রুখতে আঁটোসাঁটো পুলিশি প্রহরা সর্বত্র, তার জেরে ব্যতিব্যস্ত যাত্রীরা। পরিবহন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। হাওড়া স্টেশনে বাস প্রায় নেই, সীমিত সংখ্যক সরকারি ও বেসরকারি বাস চলছে কেবল। হাওড়া ব্রিজের দুপাশে ভর্তি পুলিশ ভ্যান। ফলে, হেঁটেই ব্রিজ পেরোতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
কলকাতা এবং হাওড়ার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা – ফরশোর রোড, এজেসি বোস রোড, সাঁতরাগাছি, লক্ষ্মীনারায়ণপুর, মন্দিরতলা চত্বর, কোনা এক্সপ্রেসওয়ে, রেড রোড ইত্যাদি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ক্রেনে করে কনটেনার দিয়ে রাস্তা আটকানো হয়েছে, নামানো হয়েছে দশ ফুট লম্বা ব্যারিকেডও।
Advertisement
সড়কপথ বন্ধ থাকায় ভিড় উপচে পড়ছে মেট্রোতে। এসপ্ল্যানেড-হাওড়া ময়দান মেট্রোতে তিলধারণের স্থান নেই। মেট্রোর স্বয়ংক্রিয় দরজা বন্ধ করা যাচ্ছে না ভিড়ের চোটে। ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন মেট্রোরেল কর্মীরা।
Advertisement
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ‘পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রসমাজ’ নামক মঞ্চ ২৭ আগস্ট অর্থাৎ মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেয়। শাসক দলের অভিযোগ, এটা বিজেপি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-র ডাকে হচ্ছে, যদিও বিজেপির পক্ষে বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই মিছিলে প্ররোচনার মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হবে, এবং ছাত্র-মহিলাদের সামনে রেখে পিছন থেকে অশান্তি সৃষ্টি করা হবে এমন খবর রয়েছে। সেই কারণেই সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রাস্তায় হাজারো পুলিশ, র্যাফবাহিনী। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে পৌঁছে গিয়েছেন নবান্নে।
Advertisement



