প্রতিবারের মতো এবারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কালীপুজোকে ঘিরে আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। মুখ্যমন্ত্রী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পুজোর তদারকি করেন। ছাত্রাবস্থায় নিজের কালীঘাটের বাড়িতে কালীপুজো শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ধারা আজও অব্যাহত। অনাড়ম্বরভাবে শাস্ত্রীয় রীতি মেনে মাতৃশক্তির আরাধনা করেন মমতা। সোমবার সকাল থেকে পুজোর তদারকিতে তিনি নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। অতিথি অপ্যায়ন থেকে শুরু করে পুজোর আয়োজন সবকিছু একা হাতেই সামলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রান্নাঘর থেকে ঠাকুরঘর সব দিকেই মমতার কড়া নজর। উপবাস থেকে বাড়ির পুজো সমস্ত আয়োজনে মধ্যমণি ছিলেন মমতা।
এদিকে ফুল-আলোয় সেজে উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি। ঠিক আর পাঁচটা ঘরের মেয়ের মতোই আটপৌরে শাড়িতে পুজোর সবদিকে নজরদারি চালান মমতা। নিজের হাতে এদিনও খিচুড়ি রান্না করেন তিনি। সন্ধ্যায় নিজের হাতে বাড়িতে প্রদীপ জ্বালান। কথা বলেন বাড়িতে আসা অতিথিদের সঙ্গে। রীতিমতো খোশ মেজাজে দেখা গেল তাঁকে।
এদিন লেক কালীবাড়ি থেকে সোজা কালীঘাটের বাড়িতে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে রয়েছে মেয়ে আজানিয়াও। গতবছর চোখে অস্ত্রোপচার সেরে কলকাতায় ফিরেই বাড়ির পুজোয় শামিল হয়েছিলে অভিষেক। উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা এই পুজো প্রথম শুরু করেন। এ বছর তা ৪৮ বছরে পা দিল। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পুজোয় মায়ের ভোগে থাকে খিচুড়ি, লাবড়া এবং বেগুন ভাজা সহ পাঁচরকমের ভাজা। থাকে চাটনি ও পায়েস। মমতা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সব আয়োজনের তদারকি করেন। পুজোর ভোগ নিজের হাতে রান্না করেন মমতা। নিরাপত্তা জোরদার থাকলেও তা কখনও বিত দর্শনার্থীদের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি তাঁর পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন অতিথি আপ্যায়নে।
নিজের লেখা গান সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে কালীপুজো ও দীপাবলির শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘দয়াময়ী মা, আমার করুণাময়ী মা, এসো মাগো আলোর দেবী, আলো নিয়ে এসো মা। অন্ধকারকে ঘুচিয়ে দিয়ে শান্তি নিয়ে এসো মা। – সকলকে জানাই কালীপুজো ও দীপাবলির আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এই উপলক্ষে আপনাদের সবার সঙ্গে আমার লেখা ও সুর করা এবং শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাওয়া কালীপুজোর একটি গান শেয়ার করে নিচ্ছি।’