শাল ব্যবসার আড়ালে সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের অভিযোগ করলেন বনগাঁর পুরপ্রধান গোপাল শেঠ। সম্প্রতি তিনি বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য বনগাঁ থানার পুলিশকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, বনগাঁয় বেশ কয়েকজন যুবক আশ্রয় নিয়েছে, যারা নিজেদের শাল বিক্রেতা বলে পরিচয় দিলেও মূল উদ্দেশ্য জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়া।
প্রসঙ্গত রাজ্য পুলিশ ও গোয়েন্দাদের সন্দেহ, ভুয়ো পাসপোর্ট চক্রের জাল ছড়িয়েছে বনগাঁ শহর সহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে। শনিবার মনোজ গুপ্ত নামে এক যুবক গ্রেপ্তার হয়েছে। জাল পাসপোর্ট চক্রের এই পাণ্ডাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থেকে। আবার মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থেকে জঙ্গি সন্দেহে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। যার ফলে সেই সন্দেহ আরও তীব্র হয়েছে।
এইসব ঘটনার পর নানারকম আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল শেঠ। তিনি বনগাঁ শহরের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। তাঁর দাবি, ফেরিওয়ালার ছদ্মবেশে সীমান্ত দিয়ে এলাকায় জঙ্গিরা ঢুকে পড়তে পারে। এমনকি শীতের সময় এলাকায় প্রচুর শাল বিক্রেতা আসে। সেই শাল বিক্রেতার ছদ্মবেশে জঙ্গিরাও প্রবেশ করতে পারে। এলাকায় কারা শাল বিক্রি করছেন তাঁর একটি তথ্য দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে তদন্তের পাশাপাশি প্রতিটি ফেরিওয়ালার পরিচয়পত্রের দাবি জানিয়েছেন।
পুরপ্রধান বনগাঁ থানায় লেখা তাঁর চিঠিতে বলেছেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বনগাঁ শহরে কাশ্মীর থেকে আসা ফেরিওয়ালাদের সংখ্যা বাড়ছে। কাশ্মীর থেকে আশা ওই যুবকরা শাল ও শীতের পোশাকের দোকান খুলেছেন। যত দোকান তাঁরা করছেন, শীতের পোশাকের তত ক্রেতা বনগাঁয় নেই।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘শীতের পোশাক বিক্রি করতে কারা আসছেন, তাঁদের কোনও তথ্য পুরসভার কাছে নেই। সাধারণ মানুষের সুরক্ষার জন্য তাঁদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া প্রয়োজন। বনগাঁ শহরে আসা ফেরিওয়ালা ওই যুবকদের সম্পর্কে তদন্ত করা হোক।’