• facebook
  • twitter
Friday, 23 May, 2025

ম্যাগমা হাউসের রুফটপ রেস্তরাঁ ভাঙা শুরু কলকাতা পুরসভার

বেআইনি নির্মাণ আর বরদাস্ত করা হবে না। ম্যাগমা হাউস ভাঙা শুরু হওয়ার মধ্য দিয়েই কলকাতা পুরসভা এই বার্তা স্পষ্ট করে দিল।

পার্ক স্ট্রিটের বিতর্কিত ম্যাগমা হাউস নিয়ে অবশেষে বড় পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুরসভা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৃহস্পতিবারের হঠাৎ পরিদর্শনের পরই রাতারাতি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে বহুতলটির। কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং আইন অনুযায়ী, ৪০০(৮) ধারায় আগেই এই নির্মাণকে বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই নির্দেশ কার্যকর করেই শুক্রবার সকাল থেকে ম্যাগমা হাউসের ছাদে থাকা বেআইনি কাঠামো ভেঙে ফেলতে নামে পুরসভার ডেমোলিশন টিম।

শুধু ভাঙা নয়, ছাদে থাকা ছয়টি রেস্তোরাঁ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিল্ডিংটির ছাদে গড়ে ওঠা এই রেস্তোরাঁগুলির কোনও বৈধ অনুমতি ছিল না। তার উপরে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার ঘাটতি ছিল চোখে পড়ার মতো। গাদাগাদি করে রাখা গ্যাস সিলিন্ডার দেখে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপের নির্দেশ দেন তিনি।

বুধবার দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন সেরে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছে যান কলকাতার বড়বাজার এলাকায়। সেখান থেকে হঠাৎই পার্ক স্ট্রিটের ম্যাগমা হাউসে পৌঁছে যান তিনি। ছাদে উঠে অব্যবস্থার চিত্র নিজের চোখে দেখে তৎক্ষণাৎ কড়া বার্তা দেন। এরপরই জরুরি বৈঠকে বসেন কলকাতার নগরপাল মনোজ ভার্মা, মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।

বৈঠকের পরে সিদ্ধান্ত হয়, শুধু ম্যাগমা হাউস নয়, শহরের বিভিন্ন ভবনের ছাদে গড়ে ওঠা অবৈধ রেস্তোরাঁগুলির বিরুদ্ধেও অভিযান চালানো হবে। সেই অনুযায়ী, শুক্রবারই একটি নির্দেশিকা জারি করে কলকাতা পুরসভা জানিয়ে দেয়, ভবিষ্যতে কোনও অবস্থাতেই ছাদ রেস্তোরাঁ চালানোর জন্য বিক্রি বা ভাড়া দেওয়া যাবে না।

পুরসভা সূত্রে খবর, ম্যাগমা হাউসের ছয়টি রেস্তোরাঁই ছাদে তৈরি হয়েছিল বেআইনিভাবে। এসব রেস্তোরাঁ অগ্নি নিরাপত্তার নিয়ম মানেনি এবং কোনও অনুমতিও ছিল না। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে, প্রশাসনের তৎপরতায় রাতারাতি শুরু হয় ডেমোলিশন। শুক্রবার সন্ধ্যাবেলাতেই দেখা যায়, ছাদের কাঠামো খুলে ফেলা হচ্ছে, ক্যাফে সরানো হচ্ছে পুরসভার উপস্থিতিতে।

প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই কঠোর পদক্ষেপ। বেআইনি নির্মাণ আর বরদাস্ত করা হবে না। ম্যাগমা হাউস ভাঙা শুরু হওয়ার মধ্য দিয়েই কলকাতা পুরসভা এই বার্তা স্পষ্ট করে দিল।