ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়া বহুতল অবশেষে ভাঙা হচ্ছে। বুধবার কলকাতা পুরসভায় এই সংক্রান্ত জরুরি বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আর দেরি করতে চাইছে না পুরসভা। তাই আজ থেকেই ভাঙার কাজ শুরু হবে। আগে শোনা গিয়েছিল, সোমবার থেকেই ভাঙার কাজ শুরু হবে। কিন্তু পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে প্রশাসন এক মুহূর্তও সময় নষ্ট করতে রাজি নয়। তাই ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের এই বিপজ্জনক ভবন দ্রুত গুঁড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তবে, কীভাবে হঠাৎ করে এই ভবন হেলে পড়ল, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই প্রোমোটারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে, কিন্তু সত্যি কী ঘটেছিল, তার উত্তর এখনও মেলেনি। পুরসভার তরফে আগে থেকেই বাড়িটি ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু বাসিন্দাদের অনেকেই চাইছিলেন বিকল্প কোনও উপায় বার করতে। যাতে তাঁদের নিজেদের বাড়ি ছাড়তে না হয়। কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে পুরসভাও শেষ পর্যন্ত আর ঝুঁকি নিতে রাজি নয়।
স্থানীয় কাউন্সিলর এই বিষয়ে জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়াররা সবদিক খতিয়ে দেখার পরই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই বাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলে যে কোনও সময় বড় বিপদ ঘটতে পারে। তাই একমাত্র উপায়, এটি ভেঙে ফেলা।
Advertisement
ইঞ্জিনিয়ারদের তত্ত্বাবধানে যতটা সম্ভব সাবধানতার সঙ্গে ভাঙার কাজ চলবে। তবে এর মধ্যেই বাসিন্দাদের মনে নতুন চিন্তা- ভাঙা বাড়ির জায়গায় তাঁরা কী পাবেন? তাঁদের পুনর্বাসন কীভাবে হবে? কাউন্সিলর আশ্বাস দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে এখানে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের আওতায় নতুন বাসস্থান তৈরি করা হবে। কিন্তু সেটি কতটা কার্যকর হবে, সবাই ঠিকমতো ঠাঁই পাবেন কি না- তা নিয়েও যথেষ্ট সংশয়ে রয়েছে বাসিন্দারা। এখন পুরসভার পদক্ষেপ কত দ্রুত বাস্তবায়িত হয়, আর বাসিন্দারা কতটা নিরাপদে নতুন আশ্রয় পান, সেটাই দেখার বিষয়।
Advertisement
Advertisement



