উৎসবে অভিষেকের প্রাধান্য মূলত হতদরিদ্র মানুষ। তাঁদের খুশি করার দায়িত্ব সাংসদ নিয়েছেন নিজের কাঁধেই। উল্লেখ্য, সাংসদ হওয়ার পর থেকে দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রত্যেক বছর নিজ সংসদীয় এলাকার দুঃস্থ এবং প্রবীণ মানুষদের হাতে পুজোর উপহার তুলে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা — ডায়মন্ড হারবার, ফলতা, বিষ্ণুপুর, সাতগাছিয়া, বজবজ, মহেশতলা এবং মেটিয়াবুরুজের প্রায় সাড়ে চার লক্ষের বেশি দুঃস্থ এবং প্রবীণ মানুষের জন্য পুজো উপহার প্রত্যেক বিধানসভার নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন অভিষেক। এরপর তা আমজনতার হাতে তুলে দেবেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা। গত বছরের মতো এবারও অভিষেকের দূতেরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে সাংসদের উপহার পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন।
দলীয় সূত্রের খবর, একটি করে বিধানসভার জন্য ৭০ হাজারের বেশি শাড়ি, ধুতি, লুঙ্গি ও গেঞ্জির সঙ্গে সাংসদের শুভেচ্ছাবার্তা লেখা কার্ড পাঠানো হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে সেই উপহার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন। প্রায় সাড়ে চার লক্ষের বেশি মানুষের কাছে এই উপহার পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। তবে প্রয়োজন পড়লে উৎসবের মুখে আরও উপহার সামগ্রী বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
এই উদ্যোগ নতুন নয়। এ প্রসঙ্গে সাংসদের প্রতিনিধি তথা ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার পর্যবেক্ষক শামিম আহমেদ বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথার নড়চড় হয় না। এবারও গোটা লোকসভা কেন্দ্রের দুঃস্থ এবং প্রবীণ মানুষদের জন্য পুজোর উপহারের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। বিধায়ক পান্নালাল হালদার ও দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার পুরসভা এলাকার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এবং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বুথে বুথে বাসিন্দাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সাংসদের উপহার সামগ্রী।’
প্রসঙ্গত, সাংসদ হওয়ার পর অভিষেক পুজোর আগে উপহার সামগ্রী বিতরণের জন্য প্রত্যেক বিধানসভায় এক থেকে দু’টি করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন। সেখানেই সাংসদ তুলে দিতেন পুজো উপহার। কিন্তু দূর দূরান্ত থেকে এসে গরমের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার সেই কষ্টের কথা মাথায় রেখে গত বছর থেকে বাড়িতে বাড়িতে পুজো উপহার পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন অভিষেক। নিজের প্রতিশ্রুতিতে অনড় অভিষেক। তাঁর কথা মতো বাড়িতে বসে উপহার পেয়ে খুশি ডায়মন্ড হারবারের মানুষ।
উল্লেখ্য, কেবল নতুন বস্ত্র নয়, সেই সঙ্গে এবার অভিষেকের পুজোর উপহার হিসাবে তাঁর দূতেরাও রাজপথে থাকবেন আমজনতাকে সাহায্যের উদ্দেশ্যে।