• facebook
  • twitter
Saturday, 14 December, 2024

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ডায়মন্ড হারবারে ‘ডক্টরস্ সামিট’

সেখানে উপস্থিত থাকার কথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপার রাহুল গোস্বামী, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ অন্যদের।

ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র

আরজি কর আবহে এবার স্বাস্থ্যখাতে বাড়তি নজর দিতে চান তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, চিকিৎসকদের সঙ্গেও সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে চান ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। সেই উদ্দেশ্যে নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে চিকিৎসকদের নিয়ে এক শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে চলেছেন অভিষেক। ৩০ নভেম্বর অভিষেকের কেন্দ্র আমতলার সমন্বয় প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হবে ‘ডক্টর্‌স সামিট ২০২৪’। সেই কর্মসূচির ডিজিটাল প্রচারপত্রে ‘মূল বক্তা’ হিসেবে নাম রয়েছে তৃণমূল সাংসদ অভিষেকের। বিভিন্ন মহল বলছে, ওই কর্মসূচিকে আরজি কর পরবর্তী অধ্যায়ে ডাক্তারদের সঙ্গে ‘সেতুবন্ধন’ বলে ব্যাখ্যা করা হলে ভুল হবে না। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ওই কর্মসূচির পোস্টার ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে সমাজমাধ্যমে। এই পোস্টারের মূল আকর্ষণ, ‘হেল্‌থ ফর অল’ বা ‘সকলের জন্য স্বাস্থ্য’। তবে কি উদ্দেশ্যে আয়োজিত হতে চলেছে এই সামিট? সূত্রের খবর, সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতেই এই মানবিক উদ্যোগ অভিষেকের। পোস্টারে কর্মসূচির প্রচারক হিসাবে চিকিৎসক তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন ও ডাঃ মহম্মদ মিরাজুদ্দিনের নাম রয়েছে।

সূত্রের খবর, ওই কর্মসূচির প্রস্তুতিতে শনিবার আলিপুরের প্রশাসনিক ভবনে এক বৈঠক হবে। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপার রাহুল গোস্বামী, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ অন্যদের। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, অভিষেকের লোকসভা কেন্দ্রে এক মাস ধরে চলবে এই স্বাস্থ্যশিবির। প্রতিদিন ১০০টি করে শিবির হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে যে চিকিৎসকদের থাকার কথা, তাঁদের নিয়েই ৩০ নভেম্বর পরিকল্পনা বৈঠক করবেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।

স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আরও এক ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ গড়তে চলেছেন অভিষেক। যদিও এই মডেলের নজির করোনা-কালেও দেখেছিল বঙ্গবাসী। কোভিডের নমুনা পরীক্ষায় সব লোকসভাকে টেক্কা দিয়েছিল অভিষেকের সংসদীয় কেন্দ্র। তবে চিকিৎসকদের নিয়ে বৈঠক বা এমন ধরনের বিশেষ কর্মসূচিতে অভিষেককে আগে যোগ দিতে কখনও দেখা যায়নি। সেই কারণেই আরজি কর কাণ্ডের পরবর্তী পর্যায়ের সঙ্গে এই উদ্যোগকে জুড়ে দিচ্ছে বিভিন্ন মহল। যদিও অনেকের মতে, এর সঙ্গে আরজি করের ঘটনা এবং তৎপরবর্তী চিকিৎসক আন্দোলনের কোনও যোগসূত্র নেই।