দিল্লিতে ইউপিএসসি-র পরীক্ষার্থীকে খুনের ৩ সপ্তাহ পর তাঁর লিভ-ইন পার্টনারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অক্টোবরের শুরুতে দিল্লির গান্ধী বিহারের একটি ফ্ল্যাট থেকে রামকেশ মীনার দেহ মেলে। রামকেশ ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল ২১ বছরের তরুণী অমৃতা চৌহানের। তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। সেই তরুণীকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সুমিতাকে এই কাজ করতে সাহায্য করেছিলেন তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক সুমিত কাশ্যপ এবং সন্দীপ কুমার নামে আরও এক যুবক।
জানা গিয়েছে, অমৃতা ফরেন্সিক সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। সেই ফরেন্সিক জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে রামকেশের দেহ জ্বালিয়ে দিতে তেল, ঘি, ও মদ ব্যবহার করেছিলেন অমৃতা। গত ৬ অক্টোবর এয়ার কন্ডিশনারে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ ও দমকল। আগুন নিভে যাওয়ার পর উদ্ধার হয় রামকেশের দেহ।
সিসিটিভিতে দেখা যায় ৫ অক্টোবর রাত ৩টে নাগাদ অমৃতা ও আরও ২ জন বেরিয়ে যান ফ্ল্যাট থেকে। এর পরেই অমৃতা-সহ বাকি ২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় অভিযুক্তরা। শ্বাসরোধ করে খুন করার পর দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এরপর গ্যাস সিলিন্ডার খুলে দিয়ে তাঁরা পালিয়ে যান। গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
Advertisement