ট্রলিব্যাগ থেকে উদ্ধার হল এক কংগ্রেস নেত্রীর দেহ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি হরিয়ানার। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম হিমানি নারওয়াল। হরিয়ানায় কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় রাহুল গাঁন্ধীর সঙ্গী ছিলেন তিনি। সাম্পলা বাসস্ট্যান্ড থেকে কিছুটা দূরে রোহতক হাইওয়ের ধারে নীল রঙের একটি ট্রলিব্যাগ থেকে হিমানির দেহ উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক ভরত ভূষণ দাবি করেন, ওই তরুণী তাঁদের দলের কর্মী। ভূপেন্দ্র এবং দীপেন্দ্র হুডার ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি।
বিধায়ক আরও বলেন, বিধায়ক বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত হওয়া দরকার। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে, অপরাধীরা পুলিশের ভয় পাচ্ছে না। হরিয়ানার প্রদেশ কংগ্রেসে সভাপতি ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, হিমানি নারওয়াল নামে এক কংগ্রেস কর্মীকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার উচ্চ পর্যায় এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। হিমানি দলের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, কয়েক বছর আগে হিমানির বাবা আত্মহত্যা করেছিলেন। তাঁর ভাইকেও খুন করা হয়েছিল। এবার খুন হতে হল হিমানিকে। কংগ্রেসের দাবি, রাজনৈতিক কারণেই খুন করা হয়েছে দলীয় কর্মীকে। কংগ্রেস নেত্রীর মৃত্যুতে রোহতক শহরজুড়ে রীতিমতো থমথমে পরিবেশ। হিমানির খুনের নেপথ্যে কোনও পারিবারিক শত্রুর হাত আছে নাকি রাজনৈতিক কারণে খুন, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রোহতক হাইওয়ের ধারে নীল রংয়ের একটি ট্রলিব্যাগ পড়েছিল। আশপাশে বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েক জনের নজরে পড়ে ব্যাগটি। খবর চাউর হতেই আরও অনেকে এসে জড়ো হন। কিন্তু পরিত্যক্ত ট্রলিব্যাগ খোলার সাহস পাচ্ছিলেন না কেউ। অনেকেই সন্দেহ করছিলেন, ব্যাগে হয়তো কোনও বিস্ফোরক বা বোমা রয়েছে। তাই তাঁরা ঝুঁকি না নিয়ে পুলিশকে ফোন করেন।
এরপর ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। ডাকা হয় বম্ব স্কোয়াডকেও। ব্যাগ খুলতেই দেখা যায়, ব্যাগের ভিতরে দলা পাকানো এক তরুণীর দেহ। বয়স আনুমানিক ২০-২২ বছর। তরুণীর হাতে ছিল মেহেন্দি, গলায় স্কার্ফ। তাঁর শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন স্পষ্ট। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, তরুণীকে শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে। তারপর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। সাম্পলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বিজেন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন, দেখে মনে হচ্ছে তরুণীকে অন্য কোথাও খুন করে এখানে ফেলে দিয়ে গিয়েছে।