শাহ-নাড্ডা বাংলায় এলে সমস্যা, রােহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে রাজ্যের সমস্যা নেই : দিলীপ

দিলীপ ঘােষ (Photo: IANS)

দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হােক বা বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতা জে পি নাড্ডা, তারা বাংলাতে এলে তৃণমূল সরকারের বক্তব্য একত্রে মিলে প্রতিরােধ গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু যখন বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার রােহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঘটে বাংলায়, তখন সে ক্ষেত্রে তৃণমূল সরকারের প্রতিরােধ গড়ে তােলবার কোনরকম প্রচেষ্টা নজরে আসে না। যখন বাংলার বিভিন্ন স্থানে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ঘটে ব জঙ্গিরা পরিচয় গােপন করে লুকিয়ে থাকে, সেক্ষেত্রেও তৃণমূল সরকারের কোনাে রকম হেলদোল নজরে আসে না। তাই এক্ষেত্রে আদতে এই তৃণমুল সরকার ধীরে ধীরে বাংলাকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে চায় , নাকি বাংলাদেশে পরিণত করতে চায়, সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

দিল্লি থেকে বৈঠক সম্পন্ন করে কলকাতায় ফিরে দমদম বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কার্যত এভাবেই রাজ্য সরকারকে তুলােধােনা রলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষ।

তিনি আরও জানান, বাংলায় শুধুমাত্র বােম আর গােলাগুলির রাজনীতি চলছে। বিরােধীদের কীভাবে মেরে ঝুলিয়ে দিতে হয়, তা তৃণমূল সরকারের কাছে সকলের শেখা উচিত। অনেক বিজেপি কর্মীদের মেরে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, যার কারণে এরকম কাজে পারদর্শিতার জন্য রীতিমত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তৃণমূল।


আগামী ২১- তাদের যােগ্য উত্তর দেওয়া হবে। পাশাপাশি নির্বাচনের পূর্বে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির সক্রিয়তার বিষয়ে রাজ্য সরকারের তােলা প্রশ্নের জবাবে দিলীপ ঘােষ বলেন, গরু পাচারকারী বা কলা পাচারারীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি পদক্ষেপ গ্রহন করবার কারণে বাংলার মানুষ যথেষ্ট খুশি।

কিন্তু এ বিষয়ে তৃণমূল সরঝবের এত সমস্যা কেন হচ্ছে তা ভালােভাবে বােঝা যাচ্ছে। তাহলে কি তাদের সাথে এই গরু পাচারকারী ও কয়লা পাচারকারীদের গােপন আঁতাত রয়েছে? ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য অসুবিধা হচ্ছে? সাধারণ মানুষ তৃণমূল সরকারের এই অসুবিধার কারণ খুব ভালভাবেই বুঝতে পারছেন। এর যোগ্য জবাব মানুষই দেবে।