ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়া শ্রমিকদের বিষয়ে আমরা আরও ভাল কাজ করতে পারতাম : নীতি আয়োগ

কোভিড সংক্রমণের মধ্যে শ্রমিকদের নিজেদের রাজ্যে ফেরানোর ক্ষেত্রে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল বলেই মনে করেছে নীতি আয়োগ।

Written by SNS New Delhi | May 25, 2020 8:19 am

নীতি আয়োগ (File Photo: iStock)

ভারতে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলার ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির কাজের প্রশংসা করলেও ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়া শ্রমিকদের নিয়ে প্রশাসনের আরও বেশি চিন্তা করা উচিত ছিল বলেই জানাল নীতি আয়োগ । কোভিড সংক্রমণের মধ্যে শ্রমিকদের নিজেদের রাজ্যে ফেরানোর ক্ষেত্রে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল বলেই মনে করেছে এই সংস্থা। নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত শুক্রবার একথা জানান।

তাঁর বক্তব্য, ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়া শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আর একটু বেশি যত্ন নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারগুলিকে ভাবতে হবে কী কারণে এই শ্রমিকরা নিজেদের রাজ্য ছেড়ে অন্য রাজ্যে কাজ করতে যান। নিজেদের রাজ্যে কাজের সমস্যা না থাকলে কখনওই কেউ বাইরে যাবে না। তাহলে প্রথমে রাজ্যগুলিকে ঠিক করতে হবে শ্রমিকা যাতে রাজ্যে থাকেন। আর যদি তাঁরা অন্য রাজ্যে যান, থাকলে তাঁদের ফেরানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্রের আরও ভাল পরিকল্পনা করার দরকার ছিল।

ভারতে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর পরেই দেশজুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাতেই সমস্যায় পড়েন ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়া শ্রমিকরা। বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েন তাঁরা। রাজ্য সরকারগুলির তরফে খাবার ও আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করলেও কাজ হারিয়ে আশঙ্কায় দিন কাটাতে থাকেন তাঁরা। অনেকে বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে, বা সাইকেলে করে রাজ্যে ফেরার চেষ্টা করতে থাকেন। অনেক রাজ্যে বিক্ষোভ দেখা যায়।

বাধ্য হয়ে রাজ্য সরকারগুলির আবেদনে সাড়া দিয়ে কেন্দ্র ঘোষণা করে, চাইলে ট্রেনে বা বাসে করে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারবে বিভিন্ন রাজ্য। সেই থেকে শুরু হয়েছে শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া। কিন্তু এখনও অনেকেই পায়ে হেঁটে, বা ট্রাকে চেপে ফেরার চেষ্টা করছেন। তার খেসারতও দিতে হচ্ছে।

পথেই প্রাণ দিতে হয়েছে অনেক শ্রমিককে। কেউ ক্লান্তিতে মারা গিয়েছে, তো কেউ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। তারপরেও এই যাতায়াত চলছে। তাই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নীতি আয়োগের সিইও বললেন, চাইলে আরও একটু গুরুত্ব দিয়ে শ্রমিকদের বিষয় চিন্তা ভাবনা করে আরও ভাল পরিকল্পনা করা যেত। এই বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়পক্ষকেই দায়ী করেছে অমিতাভ কান্ত।