নিটে ফেলের ভয়ে ‘আত্মঘাতী’ হলেন তেলেঙ্গানার দুই পরীক্ষার্থী। ডাক্তারিতে ভর্তির জন্য দেশজুড়ে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট বা নিট পরীক্ষা নেওয়া হয়। রবিবার এই পরীক্ষা আয়োজিত হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, পরীক্ষায় ভালো ফল না হওয়ার আশঙ্কায় দুই পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। মৃতদের নাম জঙ্গা পূজা এবং রহি মনোজ কুমার। দু’জনেই তেলেঙ্গানার বাসিন্দা। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পূজার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে প্রথমবার নিট পরীক্ষা দেন জাগতিয়াল জেলার বাসিন্দা পূজা। সেই বছর অবশ্য পাশ করতে পারেননি তিনি। এরপর ভালো ফল করার লক্ষ্যে একটি কোচিং ক্লাসে ভর্তি হন তিনি। সেখান থেকে প্রস্তুতি নিয়ে এবার পরীক্ষায় বসেছিলেন পূজা। কিন্তু রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় আশঙ্কায় পরীক্ষার দু’দিনের মধ্যেই গলায় দড়ি নিয়ে আত্মহত্যা করলেন তিনি।
আদিলাবাদ জেলার বাসিন্দা মনোজ এই বছরই প্রথম নিট পরীক্ষায় বসেন। ছোট থেকেই লেখাপড়ায় মেধাবী ছিলেন তিনি। বাবা শিক্ষক হওয়ায় প্রত্যাশার চাপও ছিল মনোজের উপর। নিট পরীক্ষা দেওয়ার জন্য হায়দরাবাদে কোচিংও নিয়েছিলেন মনোজ। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সোমবার বাড়ি ফিরে আসে তিনিন। এরপর বাড়িতেই গলায় দড়ি দেন বলে মনোজের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে।
নিট পরীক্ষার আগের দিনও এক পরীক্ষার্থী আত্মঘাতী হন। রাজস্থানের কোটায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন তিনি। শনিবার রাতে মেসবাড়ি থেকে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এই নিয়ে ১৪টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল কোটায়। গত বছরে কোটায় ১৭ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছিলেন।