সেনা বিমান ঘাঁটির তথ্য পাচার আটকাতে নয়া নির্দেশিকা সরকারের। ভারতের কোনও সেনা বিমানঘাঁটিতে ওঠানামার সময় যাত্রীদের জানালা বন্ধ রাখতে হবে। নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও তথ্যপাচার আটকাতে দেশের অসামরিক বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) সমস্ত বেসরকারি বিমান সংস্থাকে এমনই নির্দেশ দিল। বিশেষ করে দেশের পশ্চিমে পাক সীমান্তবর্তী অঞ্চলের কাছাকাছি থাকা সেনা বিমানঘাঁটিগুলিতে এই নির্দেশ কঠোরভাবে পালন করার কথা বলা হয়েছে।
ডিজিসিএ-র তরফে সতর্ক করা হয়েছে, যাত্রীরা সেনার বিমানঘাঁটি ব্যবহার করার সময় ছবি বা ভিডিও তুলতে পারবেন না। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থাগুলিকেই যাত্রীদের সতর্ক করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কেউ নিয়মভঙ্গ করলে নিরাপত্তাবিধি মেনে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে। ডিজিসিএ-র তরফে বলা হয়েছে, অনিচ্ছাকৃত ভাবে নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আসা আটকাতেই এই পদক্ষেপ।
প্রসঙ্গত পহেলগামে জঙ্গি হামলার জেরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত হানে ভারত। শুরু হয় ভারত-পাক সামরিক সংঘাত। সেই সময় দেশের উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম সীমান্ত বরাবর একাধিক জায়গায় ড্রোন হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল পাক বায়ুসেনা। যদিও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনী সেই হামলা খুব সহজভাবে প্রতিহত করে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী এলাকায় থাকা সেনাবাহিনীর বিমানঘাঁটিগুলির উপর সজাগ দৃষ্টি রাখতে চাইছে ভারত। বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে একাধিক ব্যক্তির ধরা পড়ার পর এই বিষয়গুলির উপর আরও গুরুত্ব বেড়েছে।
এব্যাপারে ডিজিসিএ-র তরফে বলা হয়েছে, কোনও বিমান সেনার বিমানঘাঁটি থেকে ওড়ার পর ১০ হাজার কিলোমিটার না ওঠা পর্যন্ত বিমানের জানলা বন্ধ রাখতে হবে। আবার বিমান অবতরণের সময় ওই উচ্চতা থেকে নিচে নামলেই বিমানের জানলা বন্ধ করেতে হবে। সেনার বিমানঘাঁটি নিয়ে পরিকাঠামোগত তথ্য যাতে দেশের বাইরে না যায়, সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত। তবে আপৎকালীন জানলা বা ‘ইমার্জেন্সি উইন্ডো’র জন্য এই নিয়মে ছাড় দেওয়া হয়েছে।