বিহার, বাংলার পর এবার পালা আসামের। বিশেষ নিবিড় সংশোধন অর্থাৎ এসআইআর শুরু হতে চলেছে আসামেও। সোমবার নির্বাচন কমিশনের তরফে এমনটাই জানানো হল। কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, আসামেও শুরু হচ্ছে ‘বিশেষ সংশোধন’। দেশের বাকি রাজ্যে চলা বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর-এর মত একই পদ্ধতি মেনে আসামেও হবে ভোটার তালিকা সংশোধন পদ্ধতি।
কমিশনের এই বিজ্ঞাপ্তির পর বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে, চাপের মুখে পড়ে আসামেও এই পদক্ষেপ করতে বাধ্য হল কমিশন। তাঁরা বলছেন, দেশজুড়ে এসআইআর ঘোষণার মাত্র ২১ দিনের ব্যবধানে বিরোধীদের চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে কমিশন। কারণ, ২৭ অক্টোবর বাংলা-সহ ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর ঘোষণার পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার প্রথম প্রশ্ন তুলেছিলেন আসামকে কেন এই তালিকা থেকে বাদ রাখা হবে। তারপর দেশের বাকি বিরোধীদলগুলিকেও এই ইস্যুতে মমতা বন্দোপাধ্যের সঙ্গে একমত হতে দেখা যায়। সেই চাপের মুখেই এবার আসামেও এসআইআর ঘোষণা করা হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Advertisement
সোমবার কমিশনের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, ১৮ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবে। ২২ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিএলওদের ভেরিফিকেশন, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের পুনর্বিন্যাস ও ভোটার কার্ড সংশোধন করা হবে। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ২৭ ডিসেম্বর। ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২২ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত কমিশনে অভিযোগ জানাতে পারবেন ভোটাররা। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ১০ ফেব্রুয়ারি। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এসআর-এ ডি-ভোটার বা ডাউটফুল ভোটারদের নাম ঠিকানা পরিবর্তন করা হবে না। ভোটার তালিকা থেকে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল বা সংশ্লিষ্ট কোনও আদালতে নির্দেশিকা ছাড়া তাঁদের নাম মোছা হবে না।
Advertisement
গত ২৭ অক্টোবর বাংলা-সহ ১২ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর শুরু হলেও বাদ রাখা হয়েছিল আসামকে। সেই সময় নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে আসামে এনআরসি প্রায় শেষের পথে। এছাড়া উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যের নিজস্ব বিধানও রয়েছে। তাই এসআইআর প্রক্রিয়া থেকে আসামকে বাদ রাখা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আসামের জন্য আলাদা করে নির্দেশিকা জারি করা হবে এবং পৃথক তারিখ ঘোষণা করা হবে।’
|
|
Advertisement



