নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহার করার কোনও প্রশ্ন নেই : রামবিলাস পাসোয়ান

নাগরিকত্ব আইন, নাগরিকপঞ্জী, নাগরিক জনসংখ্যা রেজিস্টারের বিরােধিতায় দেশজুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভের ঝড় বইছে- কোথাও কোথাও তা হিংসাত্মক চেহারা নিয়েছে।

Written by SNS Patna | January 27, 2020 3:08 pm

রামবিলাস পাসােয়ান (File Photo: IANS)

সংশােধিত নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহার করার কোনও প্রশ্ন নেই বলে মন্তব্য করলেন রামবিলাস পাসােয়ান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মােদি বলেছেন দেশের কোথাও নাগরিকপঞ্জী হবে না, তাঁকে বিশ্বাস করুন। নাগরিকত্ব আইন, নাগরিকপঞ্জী, নাগরিক জনসংখ্যা রেজিস্টারের বিরােধিতায় দেশজুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভের ঝড় বইছে- কোথাও কোথাও তা হিংসাত্মক চেহারা নিয়েছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা লােক জনশক্তি পার্টি নেতা রামবিলাস পাসােয়ানকে শাহিনবাগ, পাটনা, গয়া, লখনউ সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ নিয়ে তার মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, নতুন কোনও ব্যাপার নয়, আন্দোলন আগেও হয়েছে, এখনও হচ্ছে।

১৯৭৪ সালে দুনীতির বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছিল- টানা কয়েকমাস ধরে আন্দোলন চলেছিল, বাস পােড়ানাে থেকে শুরু করে তারা যা ইচ্ছা করেছিল। আমরা একদিন জয়প্রকাশ নারায়ণের সঙ্গে দেখা করে তাকে অনুরােধ করেছিলাম, তিনি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিন। কিন্তু সেদিন তিনি বলেছিলেন, তােমরা ভাঙচুর করছ, আমি নেতৃত্ব দিতে পারব না। আমরা তাঁকে ফের অনুরােধ জানালে, তিনি আমাদের প্রথম স্লোগান দিতে বলেছিলেন।

স্লোগানটি ছিল, ‘হামলা যেমন হােক না কেন, আমরা হাত তুলব না’। ওনার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর আমরা বুঝেছিলাম একটা আন্দোলন অহিংস হওয়া কতটা জরুরি। পরবর্তীতে সারা ভারতে আমাদের ছত্র আন্দোলন শুরু হয়েছিল। পরে কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় গান্ধি আমাদের ছাত্র আন্দোলনকে রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা করলেও তিনি সফল হননি। কিন্তু এখনকার আন্দোলনের চেহারা দেখুন– ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে জেএনইউ’তে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। গােড়ায় নাগরিকত্ব আইনের বিরােধিতায় কোনও আন্দোলন শুরু হয়নি।

প্রথমে ইস্যুটা বুঝতে হবে- তারপর এগােতে হবে। ১৯৫৫ সালে নাগরিকত্ব (সংশােধনী) আইন ছিল। ২০০৩ সালে বাজপেয়ী সরকার আইনটি সংশােধন করেছিল। নাগরিকত্বের জন্য তথ্য প্রয়ােজন। কারুর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হচ্ছে না।