• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

উত্তরপ্রদেশে মাদ্রাসা শিক্ষা আইন বৈধ ও সংবিধান সম্মত, জানাল সুপ্রিম কোর্ট 

উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসাগুলি বৈধ এবং সাংবিধানিক। ২০০৪ সালের উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে বহাল রাখল সুপ্রীম কোর্ট। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডকে অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সেই রায়কে মঙ্গলবার খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়ে দিল আইনটি ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি লঙ্ঘন করেছে বলে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তা ঠিক নয়।

উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসাগুলি বৈধ এবং সাংবিধানিক। ২০০৪ সালের উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে বহাল রাখল সুপ্রীম কোর্ট। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডকে অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সেই রায়কে মঙ্গলবার খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়ে দিল আইনটি ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি লঙ্ঘন করেছে বলে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তা ঠিক নয়। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ সরকারকে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় আধুনিক শিক্ষার মান প্রয়োগ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার কথা বলেছে দেশের শীর্ষ আদালত। 

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘আমরা উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা আইনের বৈধতা বহাল রেখেছি। রাজ্যের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার অভাব থাকলেই একটি আইন বাতিল করা যেতে পারে।’ সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে স্বস্তি মিলল যোগী-রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষক ও ছাত্রদের। কারণ এলাহাবাদ হাইকোর্ট শিক্ষার্থীদের রাজ্যের অন্যান্য স্কুলে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, মাদ্রাসাগুলি উচ্চশিক্ষায় ডিগ্রি দিতে পারবে না। কারণ তা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আইনের বিরোধী। ২২ অক্টোবর বেঞ্চ এই মামলার রায় স্থগিত রেখেছিল। 

Advertisement

২০০৪ সালে রাজ্যে কার্যকর হয় উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা বোর্ড শিক্ষা আইন। সেই সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা মুলায়ম সিং যাদব। কিন্তু যোগী আদিত্যনাথ সরকার ক্ষমতা দখলের পরেই রাজ্যের মাদ্রাসাগুলি নিয়ে সমীক্ষা শুরু করে। মাদ্রাসাগুলোতে কোন বিদেশী অনুদান আসছে কিনা, তা নিয়ে শুরু হয় সমীক্ষা। 

Advertisement

এরপরেই রাজ্যে মাদ্রাসা শিক্ষা আইনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। শুনানিতে মামলাকারীর পক্ষে রায় দেয় হাইকোর্ট। জানিয়ে দেওয়া হয়, ধর্মীয় শিক্ষা সংবিধানের পরিপন্থী। ২২ মার্চ এলাহাদ হাইকোর্ট মাদ্রাসা আইনকে ‘অসাংবিধানিক’ হিসেবে ঘোষণা করে। রাজ্য সরকারকে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের রাজ্যের অন্যান্য স্কুলে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়।  এরপর মামলা পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল রাজ্যের ১৭ লক্ষ মাদ্রাসা পড়ুয়া।   

Advertisement