‘গর্ভপাত’ বিষয়টি সংবেদনশীলতার সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত, মত প্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির  

Written by SNS April 2, 2024 6:32 pm

দিল্লি, ২ এপ্রিল – ‘গর্ভপাত’ একটি সংবেদনশীল বিষয়। গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নিতে একজন মহিলাকে যে মানসিক, শারীরিক এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা সংক্রান্ত সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই এর মূল্যায়ন হওয়া উচিত। এমনটাই মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় একথা বলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। 

 সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন এই অনুষ্ঠানে গুজরাটের একটি ঘটনার কথা তুলে ধরেন তিনি। গুজরাটের এক আদিবাসী তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করা হয়। তার জেরে গর্ভবতী হয়ে পড়েন তিনি। ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা তরুণী গর্ভপাতের আবেদন নিয়ে গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। গর্ভস্থ শিশুর জীবনের অধিকারকে গুরুত্ব দিয়ে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়নি হাইকোর্ট। যদিও মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়েছিল, গর্ভপাতে কোনও সমস্যা নেই। এই পরিস্থিতিতে তরুণী শীর্ষ কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ায় গর্ভপাতের অনুমতি দেয় বিচারপতি নাগরত্ন এবং বিচারপতি ভুঁইয়ার বেঞ্চ।
 
বিচারপতি নাগরত্নের মন্তব্য, ‘এই বিতর্ক জীবনের অধিকার এবং মহিলাদের শরীরের অধিকারের অনেক ঊর্ধ্বে। শুধুমাত্র এই দু’টি বিষয়ের মধ্যে মেরুকরণ করা ঠিক হবে না।’ বিচারপতি নাগরত্নের মতে, এ ধরনের ঘটনায় মহিলাদের কী ধরনের মানসিক সমস্যা এবং জটিলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, সেটা খেয়াল রাখা উচিত।
 
বিচারপতির কথায়, ‘কোনও মহিলার পক্ষে গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ নয়। চিকিৎসাজনিত কারণ থাকলেও মানসিকভাবে -কে প্রস্তুতি নিতে হয়…একজন মহিলা অনেক ভেবেচিন্তে গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নেন।’ গত বছর ২৬ বছরের এক বিবাহিত মহিলার গর্ভপাতের আর্জির প্রেক্ষিতে বিচারপতি নাগরত্ন জানিয়েছিলেন, অপরিকল্পিত গর্ভধারণ এবং যৌন হেনস্থার মাধ্যমে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ট্রমা একই রকমভাবে কাজ করে । কারণ, উভয় ক্ষেত্রেই মহিলারা স্বেচ্ছায় সন্তানের জন্ম দিতে চান না।