আগেই পড়শি রাজ্য বিহারে মদ বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও চোরাপথে বিক্রি হচ্ছিল মদ। সামনে বিধানসভা ভােটের আগে তাতে নিয়ন্ত্রণ আনতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেই পদক্ষেপের অঙ্গ হিসেবে এবার বিহারে ৫.৬০ লক্ষ লিটার মদ উদ্ধার হয়েছে, যার বাজারদর প্রায় ন’কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, গত মাসের ২৫ তারিখ বিহারের ভােটের দিন ঘােষণার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে নির্বাচনী বিধি বলবৎ হয়ে যায়। সেদিন থেকে বুধবার পর্যন্ত বিহারে ৫.৬০ লক্ষ লিটার মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বেআইনি নগদ অর্থ ( প্রায় ১৪ কোটি টাকা ) এবং প্রায় ১০০ কেজি সােনা রুপাে। রুপােই বেশি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার কেজি মাদকও। সব মিলিয়ে নির্বাচনী বিধি জারির মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই উদ্ধার হয়েছে সাড়ে ৩৫ কোটি টাকার সামগ্রী। মিলেছে ৮০ লক্ষ টাকা মূল্যের নেপালি অর্থও।
Advertisement
প্রসঙ্গক্রমে, ভােটে নগদ, মদ বা অন্য সামগ্রী ব্যবহার বেআইনি। তা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নির্বাচনে তা ব্যবহার করে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযােগ উঠছে। খরচের নিরিখে এবার বিহারে ৯১ টি বিধানসভা কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করে সেখানে বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে কমিশন। সেই কাজ করছে ৯৫০ স্ট্যাটিক সার্ভেলেন্স টিম আর ৮৮০ টি ফ্লাইং স্কোয়াড।
Advertisement
ইতিমধ্যেই বিহারে নির্বাচনে ৬৭ জন অর্থব্যয় পর্যবেক্ষক নিয়ােগ করেছে নির্বাচন সদন। এবার গত বছর লোকসভা নির্বাচন পর্বের তুলনায় অনেক বেশি মদ উদ্ধার হয়েছে এখন পর্যন্ত। নির্বাচনী বিধি জারির একমাস পূর্ণ হওয়ার আগেই বিধানসভা ভােটে তা কয়েক গুণ বেড়েছে এবং সেটা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিহারের নির্বাচন পরিচালকরা।
Advertisement



