জম্মু-কাশ্মীরের কিস্তওয়ারে গুলির লড়াই। ভূস্বর্গে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর থেকেই জঙ্গি নিকেশে একের পর এক অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের কিস্তওয়ার জেলার সিংপোরা এলাকায় শুরু হয়েছে গুলির লড়াই। জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে শিকড় থেকে সন্ত্রাসবাদকে উপড়ে ফেলতে তৎপর সেনা।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা নাগাদ কিস্তওয়ার জেলার সিংপোরা এলাকায় যৌথ অভিযান চালায় প্যারা এসএফ, সেনার ১১আরআর, অসম রাইফেলস এবং এসওজি। প্রথামিকভাবে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর ছিল। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়েই গোটা এলাকা ঘিরে অভিযান শুরু হয়। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশেন ত্রাসী’। দুই পক্ষের গুলির লড়াই হয়। তাতেই নিহত হয়েছে দুই জঙ্গি। অন্যদিকে, বাকি জঙ্গিদের খোঁজে অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে বলেই খবর।
এই নিয়ে কাশ্মীর উপত্য়কায় দুই সপ্তাহে ৮ জঙ্গিকে খতম করল সেনা। এক সপ্তাহ আগেই পুলওয়ামার ত্রাল এলাকার নাদির গ্রামে তিন জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিকে হত্যা করেছিল সেনা। পুলওয়ামার বাসিন্দা আসিফ আহমেদ শেখ, আমির নাজির ওয়ানি ও ইয়াওয়ার আহমেদ ভাটের মৃত্যু হয়। তারও আগে, গত ১৩ এপ্রিল, দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ানের জিনপাথের কেলার এলাকায় লস্কর-ই-তইবার তিন জঙ্গিকে খতম করে নিরাপত্তা বাহিনী।
পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন ভারতীয়কে হত্যার প্রতিশোধে ৬ মে পিওকে এবং পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারতীয় সেনা। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি। তাতেই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে পাকিস্তান। পাল্টা আক্রমণ করে পাকিস্তানও। যার পর ভারত-পাক সংঘর্ষ বাঁধে। যদিও সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় ভারত। সংঘর্ষ বিরোরীর পর পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে ফের কাশ্মীরে আক্রমণ চালায়।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরই জম্মু এবং কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাস দমন অভিযানে আরও জোর দেওয়া হয়েছে। জঙ্গিদের সম্ভাব্য গতিবিধির খবর পাওয়ার পর ধারাবাহিক ভাবে তল্লাশি চালানো হচ্ছে দক্ষিণ কাশ্মীরে। একই সঙ্গে পহেলগাঁও কাণ্ডে জড়িত জঙ্গিদের খোঁজও জারি রয়েছে।