টুকরাে টুকরাে করা যাবে না কার্গিল নায়ক বিরাটকে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

আইএনএস বিরাটের ক্ষেত্রে প্রথমে সংরক্ষণের কথা বলা হলেও নানা টালবাহানার পর কার্গিল নায়ককে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীরাম গুপ।

Written by SNS New Delhi | February 11, 2021 6:25 pm

আইএনএস বিরাটে (Photo: iStock)

৩০ বছরের ঐতিহাসিক যাত্রা শেষ করে গুজরাটের আলাংয়ে একটু একটু করে শেষ হয়ে যাচ্ছিল কার্গিল যুদ্ধের নায়ক আইএনএস বিরাট। ঐতিহাসির রণতরীকে ভেঙে ফেলার দায়িত্বে ছিল গুজরাটের শ্রীরাম গ্রুপ। কিন্তু এবার সে প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। 

স্থগিতাদেশ জারি করে দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে আর ভাঙা যাবে না কার্গিল নায়ককে। ২০১৪ সালে মুম্বইয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছিল আইএনএস বিক্রান্ত। আইএনএস বিরাটের ক্ষেত্রে প্রথমে সংরক্ষণের কথা বলা হলেও নানা টালবাহানার পর কার্গিল নায়ককে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীরাম গুপ। আস্তে আস্তে চলছিল বিরাট ভাঙার কাজ। কিন্তু একটি সংস্থার আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করেছে। 

সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা দিয়ে ১০০ কোটি টাকায় রণতরীটি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে একটি সংস্থা। সেই সাপেক্ষেই স্থগিতাদেশ জারি করে বিরাটের বর্তমান মালিককে নােটিশ পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পিটিশন দাখিল করে ওই সংস্থা জানিয়েছে ১০০ কোটি টাকায় বিরাটকে কিনে তাকে একটি সংগ্রহশালায় পরিণত করতে চায় তারা। 

আইএনএস বিরাটকে সংগ্রহশালায় পরিণত করার কথা আগেও প্রকাশ্যে এসেছে। প্রথমে গােয়ার সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জাহাজটিকে সংগ্রহশালায় পরিণত করতে চেয়েছিল এনভিটেক সংস্থা। কিন্তু এনভিটেকের হাতে না এসে জাহাজটি যায় শ্রীরাম গােষ্ঠীর হাতে। এরপর শ্রীরাম গ্রুপ জাহাজটি বিক্রি ও সংগ্রহশালার জন্য এনওসি দিতে নারাজ হয়। 

অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারও রণতরীটিকে সংগ্রহশালায় পরিণত করতে চেয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের কাছে ভর্তুকি আবেদন করেছিল। কিন্তু প্রতিরক্ষামন্ত্রক ভর্তুকি না দেওয়ায় ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনাও। 

প্রসঙ্গত ১৯৫৯ সালে প্রথম ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির অন্তর্ভুক্ত হয় আইএনএস বিরাট। সেই থেকে যুদ্ধ শুরু এই রণতরীর। ১৯৮২ সালে ফকল্যান্ড যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিরা পালন করে আইএনএস বিরাট। ১৯৮৫ সালে ব্রিটিশ পতাকা নামিয়ে দেওয়া হয় রণতরীটি থেকে। ১৯৮৬ সালে ভারতে আসে বিরাট। ১৯৯৯ সালে করাচি বন্দরের ওপর কড়া নজরদারি চালিয়েছে এই রণতরী। সমুদ্রে অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে ভারতের জলসীমানা রক্ষা করেছে ৩০ বছর। এই রণতরী ভারতের পতাকা নিয়ে সমুদ্রে কাটিয়েছে প্রায় ২২৫২ দিন। যার যাত্রাপথ ১০ লক্ষ ৯৪ হাজার ২১৩ কিলােমিটার।