এনসেফ্যালাইটিস নিয়ে বিহার সরকারের জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট

বিহারে এনসেফ্যালাইটিস আক্রান্তদের মৃত্যুর হার বেড়ে চলায় উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট।

Written by SNS New Delhi | June 25, 2019 10:40 am

অ্যাকিউট এনসেফেলাইটিস সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা চলছে মুজফফারপুরের হাসপাতালে (File Photo: IANS)

বিহারে এনসেফ্যালাইটিস আক্রান্তদের মৃত্যুর হার বেড়ে চলায় উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। বিহারে নীতীশ সরকারকে সার্বিক পরিস্থিতি জানিয়ে ৭ দিনের মধ্যে হলফনামা দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত।

এক জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি বি আর গবাইয়ের বেঞ্চ হািরে মারণ রােগ নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে বলে, ‘এটা চলতে দেওয়া যায় না। এর উত্তর চাই’।

দেশের শীর্ষ আদালতের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বিহারের নীতীশ সরকার জানিয়েছে, ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে’।

অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটি সিনড্রোম (এএস) নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে কেন্দ্র এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গাফিলতির মামলা করা হয়েছে মুজফফরপুর আদালতে। গাফিলতির মামলার প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মুজফফরপুর মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালত।

মুজফফরপুর সহ বিহারের একাধিক এলাকায় এনসেফ্যালাইটিস ভয়াবহ আকার নিয়েছে। শতাধিক শিশু প্রাণ হারিয়েছে এই মারণ রােগে। বেসরকারি মতে, মৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে পৌঁছেছে প্রায় দেড়শােয়।

শীর্ষ আদালতে মামলার অভিযােগকারীরা জানিয়েছেন, এই রােগ প্রতিরােধে বিহার সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি। সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল আকার নিয়েছে।

দুই মামলাকারী আবেদনে লিখেছেন, এই রােগ যাতে মহামারির আকার না নেয় সেজন্য বিহার সরকারকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশিকা জারি করুক শীর্ষ আদালত।

সােমবার মামলার শুনানির সময় বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি বি আর গবাইয়ের বেঞ্চ বিহার সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘এই অবস্থা চলতে দিতে পারা যায় না’।

এনসেফ্যালাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, আক্রান্ত শিশুদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা হচ্ছে কি না, তারা প্রয়ােজন মতাে ওষুধ পাচ্ছে কি না, হাসপাতালগুলিতে উপযুক্ত পরিকাঠামাে রয়েছে কি না, এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আদালতকে হলফনামা দিয়ে ৭ দিনের মধ্যে জানাতে বলেছে শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ।

বিহার সরকারের তরফ থেকে ১০ দিন সময় চাওয়া হয়েছে। তারপর ফের এই মামলার শুনানি হবে।