সুপ্রিম কোর্ট কাশ্মীরে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও অন্যান্য মানুষের ক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা আরােপ করেছে তার কারণ দর্শাতে নির্দেশ দিয়েছে। কাশ্মীরের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় অচলাবস্থা নিয়ে বিভিন্ন মানুষের আবেদনের বিষয়ে কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকারি প্রশাসন কেন হলফনামা দিয়ে তাদের অবস্থান জানাচ্ছে না তা জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়া, সকল আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে সরকারি নির্দেশ দাখিল করতে, কারণ এতে সংবিধানে নির্দেশিত ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।
বুধবার একগুচ্ছ আবেদনের শুনানি গ্রহণ করা হয়। এক অনাবাসী ভারতীয় মহিলা আসিফা মুবিন আদালতে তার স্বামীকে কেন আটক করা হয়েছে তার কারণ জানতে চেয়েছেন। কিন্তু সরকারি পক্ষে দুই মাস কেটে যাওয়ার পরও কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি। জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের পক্ষে অবিলম্বে হলফনামা দাখিল করা হবে বলে জানানাে হয়েছে।
ভারতের সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে জানান, অধিক সংখ্যায় আবেদনের বিষয়ে জবাবদিহি করার ক্ষেত্রে সময় লাগার ফলেই হলফনামা দাখিলে বিলম্ব হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও উপত্যকায় আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকার কেন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি তার ব্যাখ্যা চায় আদালত।
এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে অবহেলা করার জন্য ভৎর্সনা করা হয়। আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী জানান, সরকার আটকের সরকারি নির্দেশ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দেখাতে না চাইলে তা আদালতে অন্তত পেশ করা উচিত। সরকারকে প্রতিটি ব্যক্তির আটকের কারণ জানাতে হবে।
আদালত উপত্যকায় আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে সরকারি নির্দেশের কপি দাখিল করতে সলিসিটার জেনারেলকে নির্দেশ দেয়। আদালত প্রতিটি আটক ব্যক্তির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সরকারি নির্দেশের কপি কেন্দ্র ও রাজ্যসরকারকে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া, আটক ব্যক্তি ছাড়াও মােবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার অভিযােগের বিষয়েও সরকারি নির্দেশের কপি দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন আবেদনকারীর পক্ষে অভিযােগ করা হয়েছে, বিগত দুইমাস ধরে কাশ্মীর উপত্যকায় মােবাইল পরিষেবা বন্ধ থাকা সত্ত্বেও মােবাইল সংস্থাগুলি বিল আদায় দিতে বলছে। এব্যাপারে মােবাইল পরিষেবা প্রদানকারীদের সঙ্গে সরকারকে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কারণ মােবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা গ্রাহকদের বন্ধ থাকা সময়ের জন্য বিল আদায় না দিলে পরিষেবা চালু করবে না বলে জানাচ্ছে। সমুদয় বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২৪ অক্টোবর।