• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

মহারাষ্ট্রে মন্ত্রিসভার বৈঠক বয়কট শিবসেনার মন্ত্রীদের

সঙ্কটে মহায়ুতি সরকার

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

সরকার গঠনের পর এক বছর না গড়াতেই মহারাষ্ট্রে সঙ্কটের মুখে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বাধীন মহায়ুতি সরকার। বিজেপির বিরুদ্ধে তাদের দল ভাঙানোর অভিযোগ এনেছে শিন্ডের শিবসেনা। এই নিয়ে দুই শরিক দলের বিবাদ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর জেরে মঙ্গলবার মহায়ুতি সরকারের সাপ্তাহিত মন্ত্রীসভার বৈঠক বয়কট করেন শিবসেনার মন্ত্রীরা। একমাত্র একনাথ শিন্ডে এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন।

মহারাষ্ট্রের পুরসভাগুলির নির্বাচন আসন্ন। শিবসেনার অভিযোগ, নির্বাচনের আগে তাদের নেতা-কর্মীদের ‘চোরাশিকার’ করছে বিজেপি। একের পর এক শিবসেনা নেতা দল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই এই নিয়ে দুই শরিক দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ছিল। এরই মধ্যে সম্প্রতি পূজা মাত্রে এবং দয়ানন্দ গায়কোয়াড় নামে শিবসেনার দুইজন বড়মাপের নেতা তাঁদের কয়েকশো সমর্থক নিয়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। এর পিছনে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রবীন্দ্র চহ্বানেরও হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

ক্ষুব্ধ মন্ত্রী প্রতাপ সারনায়েক জানিয়েছেন, তাঁরা ফড়নবিশের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। এদিকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ পাল্টা অভিযোগ করেছেন, উল্লাসনগরে শিবসেনাই প্রথম বিজেপি কর্মীদের ভাঙিয়েছিল। যদিও রাজ্যের আরও এক উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

Advertisement

বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে মন্ত্রীসভার বৈঠক বয়কটের কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এদিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন শিবসেনার মন্ত্রীরা।

মন্ত্রীসভার বৈঠক বয়কট করাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক জলঘোলা শুরু হয়েছে। আদিত্য ঠাকরে মহায়ুতি সরকারকে নিশানা করে বলেছেন, ‘দলীয় স্বার্থে মন্ত্রীসভার বৈঠক বয়কট করার অর্থ হল মহারাষ্ট্রের জনগণকে অপমান করা।মন্ত্রীসভার বৈঠক জনগণের সমস্যার সমাধানের জন্য, ছোটখাটো বিবাদ মোকাবিলার জন্য নয়।’

গত বছর মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে একনাথ শিন্ডেকে সরানোর পর থেকেই দলীয় অসন্তোষ দানা বাঁধছিল। পাশাপাশি কংগ্রেস এবং শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর এনসিপি নেতাদের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে মহায়ুতি সরকারে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছিল। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে নিজের দলের মন্ত্রীদের নিয়ে মহা সমস্যায় পড়েছেন শিন্ডে। দুই শরিক দলের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ এখন চরমে পৌঁছেছে। আগামী দিনে শিন্ডে-ফড়নবিশের মধ্যে বৈঠক হলেও তার ফল কী হবে তা নিয়ে প্রবল গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

Advertisement