শাহিন বাগ বিক্ষোভ : সড়ক অবরোধে আপত্তি সুপ্রিম কোর্টের

দিল্লির শাহিন বাগ এলাকায় সিএএ’এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের অনির্দিষ্টকাল সড়ক অবরােধ করা যায় না বলে বার্তা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

Written by SNS New Delhi | February 12, 2020 4:05 pm

শাহিন বাগে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান। (File Photo: Twitter/@ThePeopleOfIN)

দিল্লির শাহিন বাগ এলাকায় সিএএ’এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের অনির্দিষ্টকাল সড়ক অবরােধ করা যায় না বলে বার্তা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সােমবার সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শুনানির সময় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বিক্ষোভ দেখানাের অধিকার সকলেরই রয়েছে, কিন্তু সড়ক অবরােধ করে অন্যের অসুবিধা সৃষ্টির কোনও অধিকার কারও নেই। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার, দিল্লি সরকার ও পুলিশকে নােটিশ জারি করে মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ ফেব্রুয়ারি নির্দিষ্ট হয়েছে।

বিচারপতি এস কে কাউল ও বিচারপতি কে এম জোশেফ কে নিয়ে গঠিত এক বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। সরকার নির্দিষ্ট কোনও স্থান ব্যতীত কোনও ফাঁকা জায়গা এমনকী কোনও পার্কেও মানুষের অসুবিধা সৃষ্টি করে বিক্ষোভ চলতে পারে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছে আদালত।

শাহিন বাগে এক মহিলা তার চার মাসের এক শিশুকে নিয়ে বিক্ষোভে শামিল হওয়ার পরে ঠাণ্ডায় তার মৃত্যু হয় এব্যাপারে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এক আবেদন জানায় সাহসিকতার জন্য জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বারাে বছরের এক কিশাের। সংশ্লিষ্ট অভিযােগের ভিত্তিতে আদালত পুলিশকে বিক্ষোভ এলাকায় কোনও শিল্প অবস্থান না হওয়া নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের পক্ষে জানানাে হয়েছে, রাষ্ট্রসংঘের নীতি অনুযায়ী শিশুদেরও বিক্ষোভে শামিল হওয়ার অধিকার রয়েছে। এবিষয়ে প্রধানবিচারপতি এস এ বােবড়ে প্রশ্ন তােলেন, এক চারমাসের শিশু কিভাবে বিক্ষোভে শামিল হতে পারে? এটা কোনও মা সমর্থন করতে পারেন?

বিক্ষোভের বিরুদ্ধে আবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভের ফলে মথুরা রােড এবং কালিন্দি কুঞ্জ যাতায়াতের ১৩এ সড়ক পলিশ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। ফলে ব্যবসা, সাধারণের যাতায়াত ও স্থানীয় মানুষের অসুবিধার শেষ নেই। ইতিমধ্যে এই বিক্ষোভ পঞ্চাশ দিনে পড়েছে। যাতায়াতের একটি সড়ক এক মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে অবরােধের ফলে অথচ পুলিশ প্রশাসন কিছুই করছে না এটা সংবিধানের কোন ধারায় রয়েছে আবেদনকারীরা জানতে চান।

উল্লেখ্য দিল্লি হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট বিক্ষোভ অবরােধের বিষয়ে ১৪ জানুয়ারি তারিখে কোনও নির্দেশ জারি না করে কেবল পুলিশকে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও বৃহত্তর স্বার্থের কথা মাথায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে। বিক্ষোভে শামিল অধিকাংশ মহিলা চব্বিশ ঘণ্টাই এখানে অবস্থান করেছে।