রাফায়েল:দুপক্ষকেই লিখিত বক্তব্য জমা দিতে হবে দুই সপ্তাহের মধ্যে

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে সরকারের পক্ষে জানানাে হয়েছে ,সংশ্লিষ্ট বিষয় দেশের নিরাপত্তা সম্পর্কিত এবং তা নিয়ে কোনও আদালতে পরীক্ষা নিরীক্ষার কোনও নজির কোনও দেশে নেই।

Written by SNS New Delhi | May 11, 2019 12:38 pm

রাফায়েল যুদ্ধবিমান (Photo: iStock)

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে সরকারের পক্ষে জানানাে হয়েছে ,সংশ্লিষ্ট বিষয় দেশের নিরাপত্তা সম্পর্কিত এবং তা নিয়ে কোনও আদালতে পরীক্ষা নিরীক্ষার কোনও নজির কোনও দেশে নেই।এর আগে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ক্লিনচিট দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ জারি করেছিল গত ডিসেম্বরের ১৪ তারিখে, শুক্রবার তারই পর্যালােচনার আবেদনের শুনানি হয়।সরকারের পক্ষে কে কে বেনুগােপাল জানান,রাফায়েল যুদ্ধ বিমান কোনও আলঙ্কারিক ব্যাপার নয়।দেশের সকলের নিরাপত্তার কারণে এর প্রয়ােজন।বিশ্বের কোনও দেশে আদালতে এমন একটা স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে বিচারের কথা কেউ চিন্তাই করতে পারে না।

আবেদনকারীদের এবিষয়ে পেশ করা বক্তব্য আদালতে নথিবদ্ধ হয়।আদালত তার রায়দান স্থগিত রেখে উভয় পক্ষকেই দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের লিখিত বক্তব্য পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে।সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে ৫৯ হাজার কোটি টাকার রাফায়েল যুদ্ধ বিমান কেনা নিয়ে কেন্দ্রকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছিল।সরকার নাকি রাফায়েল লেনদেন নিয়ে কোনও তথ্য গােপন করেনি এমন বক্তব্য আদালতে সরকারিভাবে জানানাে হয়।কিন্তু প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশােবন্ত সিনহা এবং অরুণ শৌরি এবং আইনজীবী,প্রশান্ত ভূষণ সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পুনর্বিবেচনার আবেদন দাখিল করেন।কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন,একটি মুখবন্ধ খামে সরকার কোনও স্বাক্ষর ছাড়াই অসমর্থিত নথিতথ্য এবং অসম্পূর্ণ বয়ান দাখিল করেছিল।তার ওপর ভিত্তি করেই সুপ্রিম কোর্ট তার রায় দিয়েছে। সরকারের সকল বিরােধিতা সত্ত্বেও সুপ্রিম কোর্ট সংশ্লিষ্ট পূর্বের রায় পর্যালােচনার আবেদন গ্রাহ্য করে এবং একটি সংবাদপত্রের দাখিল করা রাফায়েল যুদ্ধ বিমান লেনদেনের চুক্তির অনুলিপিকে সংশ্লিষ্ট মামলায় প্রামাণ্য নথিতথ্য হিসেবে গণ্য করার স্বীকৃতি জানায়। রাফায়েল যুদ্ধবিমান লেনদেন  চুক্তির কপিটি প্রাথমিকভাবে চুরি গিয়েছিল বলে আদালতে হলফনামা দিয়ে জানান সরকারের পক্ষে সলিসিটার জেনারেল কে কে বেনুগােপাল।কিন্তু পরের দিনই তিনি আবার হলফনামা দিয়ে জানান,আদালতে পেশ করা লেনদেনের চুক্তি নথিটি একটি ফটো কপি মাত্র।নথি সরকারি দফতর থেকে চুরি যায়নি।এই ঘটনায় দেশের বিচারমন্ত্রকের কাজের ধারা নিয়ে নানান প্রশ্নের মুখােমুখি হতে হয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মন্ত্রীকে।