রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের শিক্ষার অধিকার রয়েছে। আধার কার্ড ও নাগরিকত্বের প্রমাণ না থাকলেও তাদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এই নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারকে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, রোহিঙ্গা শিশুরা যাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারে সেই দিকটা দেখতে হবে। বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি এন কোটেশ্বর সিংয়ের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়াও রোহিঙ্গারা বর্তমানে কোথায় আছেন, তাঁরা কোন দেশের নাগরিক তাও নিশ্চিত করতে বলেছে শীর্ষ আদালত। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যাতে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা পায় সে বিষয়েও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের দাবি জানিয়ে আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রোহিঙ্গা হিউম্যান রাইট। সংস্থার আইনজীবী কোলিন গঞ্জালভেস দিল্লির শাহীনবাগ, কালিন্দী কুঞ্জ এবং খেজুরি খাসে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের কথা উল্লেখ করেছিলেন। তখন তাঁদের ভারতে বসবাসের বৈধ নথিপত্র আছে কি না, তা জানতে চান বিচারপতি। এ প্রসঙ্গে আইনজীবী গঞ্জালভেস রোহিঙ্গাদের রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী কার্ড থাকার কথা জানান।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির অভিযোগ ছিল, আধার কার্ড না থাকায় রোহিঙ্গারা স্কুল এবং হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারছেন না। ফলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এই পরিস্থিতির সমাধানের জন্যই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে সংস্থাটি।