• facebook
  • twitter
Sunday, 14 December, 2025

পুনের পোর্শে মামলায় অভিযুক্ত চিকিৎসক কিডনি প্রতিস্থাপন চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার

পুনে পোর্শেকাণ্ডে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সাসুন হাসপাতালের প্রাক্তন মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট অজয় তাওয়ারেকে। গত কয়েকমাস ধরেই জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি।

প্রতীকী চিত্র

পুণের পোর্শেকাণ্ডে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কিডনি প্রতিস্থাপন চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠল। অভিযুক্ত এই চিকিৎসক অজয় তাওয়ারে বর্তমানে পুনের ইয়েরাওয়াড়ার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন। পুনের পোর্শে দুর্ঘটনায় রক্তের নমুনা কারচুপির পিছনে তাঁরই মাথা কাজ করেছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এবার একটি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে কিডনি প্রতিস্থাপন চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁর নাম জড়িয়ে পড়েছে।

গত বছরের পুনে পোর্শেকাণ্ডে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সাসুন হাসপাতালের প্রাক্তন মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট অজয় তাওয়ারেকে। গত কয়েকমাস ধরেই জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি। এবার আবার এক অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। কিডনি প্রতিস্থাপন চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২২ সালে রুবি হল ক্লিনিকের কিডনি প্রতিস্থাপন চক্র মামলার তদন্তে নেমে অজয় তাওয়ারেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ডেপুটি কমিশনার (ক্রাইম) নিখিল পিনাগলে জানান, ‘চিকিৎসক অজয় তাওয়ারেকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে।’

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে তাওয়ারে রিজিওনাল অথরাইজেশন কমিটির প্রধান ছিলেন। এই কমিটিই কিডনি প্রতিস্থাপনের অনুমোদন দিয়েছিল। পুণের পুলিশ ওই বছরেই কিডনি প্রতিস্থাপনে দুর্নীতি এবং পাচারের অভিযোগে এক বেসরকারি হাসপাতালের কর্ণধার-সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই চিকিৎসক তাওয়ারের নাম উঠে আসে। পুলিশ জানায়, ২০২২-এর মার্চে কোলাপুরের এক মহিলা নিজেকে কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন এমন একজন রোগীর স্ত্রীর মিথ্যে পরিচয় দিয়ে ১৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এক তরুণীকে নিজের কিডনি দেন। অন্যদিকে, সেই তরুণীর এক ব্যক্তিকে কিডনি দেন।
সাধারণত, রক্তের গ্রুপের অমিলের কারণে যখন রোগীরা তাঁদের নিজের আত্মীয়দের কাছ থেকে কিডনি পান না, তখন দুজন রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়দের সঙ্গে এই ধরনের অদলবদল করা হয়। এক্ষেত্রে ঘটনার চারদিন পর টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে আসল পরিচয় প্রকাশ করেন কোলাপুরের মহিলা। এরপরই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। সন্দেহের তালিকায় উঠে আসে  ম্যানেজিং ট্রাস্টি এবং কর্মী-সহ ১৫ জনের নাম। তঁদের মধ্যেই একজন চিকিৎসক অজয় তাওয়ারে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে সালের ১৯ মে পুণের কল্যাণী নগরে দুই ইঞ্জিনিয়ারকে পোর্শে দিয়ে চাপা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক কিশোরের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় ২ জনেরই মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় শোরগোলের সৃষ্টি হয়। কিশোরের বিরুদ্ধে মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগ ওঠে। প্রথমে অভিযুক্তর পরিবারের গাড়ির চালক দাবি করেন, ঘটনার সময় চালকের আসনে তিনি ছিলেন। এরপরই কিশোরের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করতে দেওয়া হলে তার মা চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের ঘুষ দিয়ে নমুনা পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করেন। সেই ঘটনার প্রমাণ লোপাটে কিশোরের রক্তের নমুনা বদলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক তাওয়ারের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনাতেই গ্রেপ্তার হয়ে জেলবন্দি তিনি।

Advertisement

Advertisement