পরিযায়ী শ্রমিকদের বিনা ভাড়ায় নিজ রাজ্যে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব

বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের বিশেষ ট্রেনে তাদের নিজরাজ্যে পৌঁছে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

Written by SNS New Delhi | April 27, 2020 1:33 pm

প্রতিকি ছবি (Photo by Sanjay KANOJIA / AFP)

বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের বিশেষ ট্রেনে তাদের নিজরাজ্যে পৌঁছে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আটকে পড়া শ্রমিকদের বাসে করে নিকটবর্তী স্টেশনে এনে বিশেষ ট্রেনে সম্পূর্ণ বিনা ভাড়ায় তাদের নিজ রাজ্যে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব করে রেলের আধিকারিকরা ‘ফেসিলেটিং মাইগ্র্যান্টস ট্রাভেল’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন তৈরি করেছেন।

লকডাউন বা লকডাউন পরবর্তী সময়ে আটকে পড়া শ্রমিকদের কিভাবে তাদের নিজরাজ্যে পৌছে দেওয়া হবে তারই এক খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ সরকার বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য পরিকল্পনা করছে বলে জানা গিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আটকে পড়া শ্রমিকদের সংখ্যা অনুযায়ী তাদের বাসে করে স্টেশনে নিয়ে এলে সেইমতো রেলওয়ে তাদের জন্য ফেরার ব্যবস্থা করতে পারবে, যাতে শ্রমিকদের সংশ্লিষ্ট হটস্পট এড়িয়ে নিকটবর্তী গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া যায়। এখন উপসর্গ ছাড়াই কিভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে, বা তাদের বাদ দিয়ে গ্রিন ওয়ার্কার পুল তৈরি করা যায় এসব নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

যে সকল পরিযায়ী শ্রমিক কাজ থেকে বাদ পড়েছেন তাদের কাছ থেকে রেল ভাড়া আদায় করবে না। এজন্য সরকার পরে রেলের প্রাপ্য মিটিয়ে দেবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। যে ট্রেনে শ্রমিকদের ফেরত আনা হবে সেই ট্রেন যেকোনও স্টেশনে থামবে না বা চেন টানারও কোনও ব্যবস্থা রাখা হবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি মেনে ট্রেনগুলি সংশ্লিষ্ট সংখ্যায় শ্রমিকদের বহন করবে।

লকডাউন প্রত্যাহারের পর রেল স্টেশন এবং বাসস্টান্ডগুলিতে অতিরিক্ত ভিড় হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেকারণেই লকডাউন প্রত্যাহারের পূর্বেই পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজ রাজ্যে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে রিপোর্ট। সরকার করোনা পরবর্তী সময়ে যাত্রীপরিবহণ ব্যবস্থা কিভাবে পরিবর্তন করা যায় পরিকল্পনা করছে।

ফ্রান্সের প্যারিস ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব রেলওয়েজের সদস্য ভারতও। ১৪ এপ্রিল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনায় লকডাউনের সময়ে রেলের ক্ষতি ও ভবিষ্যৎ পরিবহণ বিয়য়টি উত্থাপন করা হয়। চিন তাদের করোনা সংক্রমণের চরম অবস্থা উত্তীর্ণ হওয়ার ফলে সাময়িকভাবে হলেও যাত্রী পরিবহণ সচল করতে সক্ষম হয়েছে, এছাড়া যে সকল বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জার ছিল তা প্রত্যাহার করেছে।

ভারতে বেকারি সংস্থাগুলি সরকারি পরিবহণে পরিবর্তন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে। করোনা পরবর্তী সময়ে পণ্য ও যাত্রী পরিবহণ নিরাপদ করার উপায় উদ্ভাবনের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে শ্ৰীযান সঞ্চার সংস্থার পক্ষে ।