কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে: প্রধানমন্ত্রী মােদি

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী মােদি– সন্ধে ছ’টায় বারো মিনিটের বক্তব্যে তিনি দেশবাসীকে এখনও কোভিড নির্দেশিকা মেনে চলার পরামর্শ দেন।

Written by SNS Delhi | October 21, 2020 2:17 am

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (File Photo: Twitter/@BJP4India)

করােনা পর্বে ফের দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী মােদি– সন্ধে ছ’টায় বারো মিনিটের বক্তব্যে তিনি দেশবাসীকে এখনও কোভিড নির্দেশিকা মেনে চলার পরামর্শ দেন। তার কথায়, ‘দেশে এখনও কোভিড টিকা যেহেতু এসে পৌছয় নি, তাই কোভিড নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। কোনও ধরনের ঢিলেমি দেওয়া যাবে না।

দেশে উৎসবের মরশুম শুরু হয়ে গেছে, ফলে সংক্রমণ লাগামছাড়া ভাবে বৃদ্ধি পাবে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীও কেরলের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে দেশবাসীকে আগাম সতর্কতা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মােদির বক্তব্যেও একই সতর্কতা আমরা শুনতে পেলাম।

তিনি বলেন, ‘কোভিড পর্বের শুরু থেকে ভারত কিভাবে শক্তহাতে পরিস্থিতি মােকাবিলা করেছে, তা সকলে জানেন। দেশে জনতা কার্ফু দিয়ে কোভিড পর্ব শুরু হয়েছিল- তারপর একটার পর একটা লকডাউন পর্ব ও কোভিড নির্দেশিকা মেনে চলার পালা, টানা কয়েকসি বন্ধুর পথ অতিক্রম করে ভারত আজ এখানে পৌছতে সক্ষম হয়েছে। যাতে ফের পুরােনাে জায়গায় ফিরে যেতে না হয়, তার জন্য দেশবাসীকে সমস্ত ধরনের সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে’।

প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা প্রসঙ্গে বলেন, ‘অর্থনৈতিক লেনদেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পাবে। জীবনকে পুরােনো গতিময় ছন্দে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় আমরা ব্রতী- আমরা নিজেদের দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে এখন প্রতিদিন বাড়ির বাইরে যেতে পারছি। দেশে উৎসবের মরশুম শুরু হয়ে গেছে, মানুষ চাহিদা মেটাতে জিনিষপত্র কিনছেন- ফলে বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠছে’।

পাশাপাশি দেশের নাগরিকদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে লকডাউন বলে এখন হয়তো কোনও পরিস্থিতি নেই ঠিকই, কিন্তু এটা ভুলে গেলে চলবে না যে দেশে এখনও করােনা ভাইরাস রয়েছে। সাত-আট মাস ধরে দেশের করোনা পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল করে রাখার লক্ষ্যে প্রতিটি নাগরিক চেষ্টা করে গেছেন। আমরা সফলও হচ্ছি, কিন্তু সেই জায়গা থেকে ফের খারাপ অবস্থার দিকে ফিরে যাওয়া ঠিক হবে না। আপনারা লক্ষ্য করবেন, দেশে কোভিড সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাটা বেশ ভালাে। কোভিডে মৃত্যু হয়েছে , কিন্তু হার কম। সম্পদশালী দেশগুলাের তুলনায় ভারত সফলভাবে দেশের বেশিরভাগ মানুষের প্রাণ রক্ষা করতে পেরেছে। কেভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাফল্য পাওয়ার একমাত্র উপায় কোভিড পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করা’।

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন বলেই ভারত সফল হচ্ছে, কিন্তু বেশ কিছু ভিডিও ও ছবিতে আমরা দেখছি মানুষ সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না- ওনারা আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন। এটা ঠিক নয় । কোভিড নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। আপনি যদি মাস্ক না পড়ে বেরোন, তাহলে এটা বুঝতে হবে আপনি সাংঘাতিক রকমের ঔদাসিন্য প্রকৃতির মানুষ। যিনি তার নিজের পরিবারের সদস্যদের বিপদ ডেকে আনছেন। এখনও কোভিড টিকা আসেনি, ফলে আমাদের কোভিড নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। আমরা পুরােপুরি সফল হতে পেরেছি, কিন্তু নির্দেশিকা পালনে ঢিলেমি দিলে চলবে না। কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইকে কোনওভাবে কোনও কিছুর বিনিময়ে দুর্বল করে দেওয়া চলবে না।’

তার কথায়, ‘দেশের সমস্ত মিডিয়া ও সােশ্যাল মিডিয়া কোভিড সতকর্তা প্রচারের জন্য যা করেছে তা প্রশংসনীয়। দেশের জন্য সবথেকে বড় কাজ ওরাই করেছেন। দেশে তাে বটেই, বিদেশেও মানবজাতির অস্তিত্বকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। বহু বছর পর এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে বিশ্ব জুড়ে মানবজাতির অস্তিত্বকে রক্ষা করার লক্ষ্যে জোরকদমে কাজ শুরু হয়েছে। পৃথিবীর বহুদেশ সে লক্ষ্যে কাজ করছে। ভারতীয় বিজ্ঞানীরাও টিকা আবিষ্কারের লক্ষ্যে কাজ করছেন। দেশে কয়েকটি টিকার ট্রায়ালও শুরু হয়ে গেছে। দেশে টিকা এসে গেলে দ্রুত তা দেশবাসীর হাতে পৌছে দেওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’