প্রকাশিত পিএম কেয়ার্স ফান্ডের অডিট রিপোর্ট, প্রধানমন্ত্রী মিথ্যে কথা বলছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি

পিএম কেয়ার্স ফান্ডের চেয়ারপার্সন ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।তহবিলে কেন্দ্র সরকারি কর্মী,রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা,ব্যাঙ্ক কর্মীদের বেতন থেকে টাকা জমা করা হয়েছিল।

Written by SNS Delhi | February 9, 2022 8:40 am

কোভিড সংক্রমণ পর্বে জরুরি ভিত্তিতে অনুদান সংগ্রহের লক্ষ্যে গঠিত ‘পিএম কেয়াস ফান্ডের যৌক্তকতা নিয়ে অতীতেও বিরোধীরাও সরব হয়েছেন, আজও হলেন।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি পিএম কেয়ার্স ফান্ডের প্রকাশিত অডিট রিপোর্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নিয়ে টুইট করে লেখেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী মিথ্যে কথা বলছেন।

কেন্দ্র ও পিএম কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে সবসময়ে কঠোর সমালোচনা করে এসেছেন।

তিনি অভিযোগ করেছিলেন, দেশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন ভেন্টিলেটর দেওয়ার জন্য যে তহবিলবায় করা হয়েছিল তা অকার্যকর ছিল।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের কঠিন সময়ে অনুদান সংগ্রহের জন্য তহবিলটি শুরু করেছিলেন।

২০২০-২০২১ অর্থবর্ষে এই তহবিলটিতে অনুদানের পরিমান তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অঙ্কের হিসেবে ১০ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা-পি এম কেয়ার্স ফান্ডের অডিট রিপোর্টে এমনটা উল্লেখ করা হয়েছে।

পাশাপাশি, এটাও উল্লেখ করা হয়েছে, পিএম কেয়ার্স ফান্ডে সংগৃহীত অনুদানের থেকে মোট ৩ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

পিএম কেয়ার্স ফান্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অডিট রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের কল্যাণে ১ হাজার কোটি টাকা ও কোভিড ডোজের জন্য ১ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

পিএম কেয়ার্স ফান্ডে ৪৯৪.৯১ কোটি টাকা বিদেশ থেকে অনুদান এসেছে। ২০১৯-২০২০ সালে পি এম কেয়ার্স ফান্ডে সংগৃহীত অনুদানের পরিমান ছিল ৩ হাজার ৭৬.৬২ কোটি টাকা।

পিএম কেয়ার্স ফান্ডের চেয়ারপার্সন ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। এই তহবিলে কেন্দ্র সরকারি কর্মী, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, ব্যাঙ্ক কর্মীদের বেতন থেকে টাকা কেটে জমা করা হয়েছিল।