সােশ্যাল মিডিয়ায় মােদিকে কটাক্ষ চাকরি গেল পাইলটের

সােশ্যাল মিডিয়াতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদিকে তীব্র কটাক্ষ করে চাকরি হারাতে হল গাে এয়ারের এক সিনিয়র পাইলটকে।

Written by SNS New Delhi | January 11, 2021 11:30 am

প্রতিকি ছবি (Photo: iStock)

সােশ্যাল মিডিয়াতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদিকে তীব্র কটাক্ষ করে চাকরি হারাতে হল গাে এয়ারের এক সিনিয়র পাইলটকে। ওই বিমান সংস্থার তরফ থেকে জানা গিয়েছে ওই সিনিয়র পাইলট সােশ্যাল মিডিয়ার আচরণ সংক্রান্ত বিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাই তাকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে। 

তবে এই পুরাে ঘটনাতে তীব্র সমালােচনার মুখে পড়তে হয়েছে ওই বিমান সংস্থাকে। চাকরি হারানাে ওই পাইলটের নাম মিকি মালিক। 

সম্প্রতি টুইটারে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র ভাষাতে আক্রমণ করেন। তিনি লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মুর্খ। পাল্টা আমাকে মূর্খ বলতেই পারেন আপনারা। অসুবিধা নেই। আমি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নই। কারণ দেশের প্রধানমন্ত্রী নই আমি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মুর্খই। পিরিয়ড।’ 

যদিও মিকির এই টুইট ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তার জন্য তিনি তড়িঘড়ি সেই টুইটটি মুছে ফেলেন। নিজের অ্যাকাউন্টও লক করে দেন। তারপর ক্ষমা চেয়ে লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে টুইটের জন্য ক্ষমা চাইছি। আমার অন্য কোনও টুইটেও যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী আমি। তবে আমার কোনও টুইটের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষ ভাবে গাে এয়ারের কোনও সংযােগ নেই।’ 

এরপর মিকিকে ঘটনার তিন দিনের মাথায় চাকরি থেকে বহিষ্কার করে গাে এয়ার। কারণ হিসাবে সংস্থার তরফে জানান হয়েছে এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে ‘জিরাে টলারেন্স’ নীতি নিয়ে চলে সংস্থা। বিষয়টি নিয়ে সংস্থার এক মুখপাত্র বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘গাে এয়ার জিরাে টলারেন্স নীতি নিয়ে চলে। আইনকানুন, নীতি নিয়ম এবং সােশ্যাল মিডিয়ার আচরণ সংক্রান্ত সংস্থার বিধিনিয়ম সমস্ত কর্মীদের মেনে চলা বাধ্যতামূলক। তার পরেও কোনও কর্মী বা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কেউ যদি নিজে ব্যক্তিগত মতামত সােশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেন, তার দায় সংস্থার নয়। 

উল্লেখ্য এই প্রথমই নয়। সােশ্যাল মিডিয়া আচরণবিধি নিয়মে গত বছর জুনেই এক প্রশিক্ষণরত পাইলটকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করে গাে এয়ার। পরে জানা গিয়েছিল ওই পাইলটের সমনামে আনা এক ব্যক্তি ওই টুইটটি করেছিলেন। এই ঘটনা আদালত অবধি গড়ায়।