ওড়িশার চাঁদিপুর থেকে সফলভাবে অগ্নি-৫ মিসাইল উৎক্ষেপণের পর ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। কিন্তু এই সাফল্যে অস্থির হয়ে পড়েছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের দাবি, ভারতের এই পদক্ষেপ আঞ্চলিক শান্তি ও কৌশলগত স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
পাকিস্তানের বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র সফকত আলি খান সাফ জানিয়েছেন, ভারতের অস্ত্রভাণ্ডার বাড়ানোর প্রবণতা শুধু পাকিস্তানের নিরাপত্তাকেই হুমকির মুখে ফেলছে না, পুরো দক্ষিণ এশিয়াকেই অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাঁর কথায়, “ভারতের সামরিক প্রস্তুতি উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এই নীতি শান্তি নয়, সংঘর্ষের সম্ভাবনাই বাড়াচ্ছে।”
Advertisement
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, অগ্নি-৫-এর পাল্লা ৫ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি, যার আওতায় পড়ে গোটা পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত এলাকা এই মিসাইলের রেঞ্জের মধ্যে পড়ছে। ফলে পাকিস্তানের অস্বস্তি যে আরও গভীর হবে, তা স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
Advertisement
স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষিত ‘মিশন সুদর্শন চক্র’-এর পরিকল্পনাও এই উদ্বেগে ঘি ঢেলেছে। শত্রুপক্ষের আকাশপথের আক্রমণ রুখতে এবং পালটা আঘাত হানতে সক্ষম এই ব্যবস্থা ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ভারতের প্রতিরক্ষা উন্নয়নের গতি পাকিস্তানের কূটনৈতিক অস্থিরতাকে আরও স্পষ্ট করে তুলছে। একদিকে পাকিস্তান শান্তি ভঙ্গের অভিযোগ তুললেও, অন্যদিকে ভারতের বাড়তি প্রতিরক্ষা শক্তিকে উপেক্ষা করাও তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে উঠছে।
Advertisement



